জালিয়াতি করে জামিন নেওয়ায় বিষয়টি ধরা পড়ার ওই আসামির জামিন বাতিল করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত আইনজীবী ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। ২০১৪ সালের ৪ আগস্ট মো. আরাফাত হোসেন নামে এক যুবককে খুন হন। আরাফাত নিহত হওয়ার ঘটনায় তার মা জোবেদা খাতুন জয়পুর হাট থানায় মামলা করেন। হত্যা মামলায় আজাদ হোসেনসহ ১০ জনকে আসামি করেন তিনি। মামলার মূল এজাহারে, দুই নম্বর আসামি আজাদ হোসেন সামুরাই (জাপানি তলোয়ার) দিয়ে খুন করার জন্য আরাফাতকে লক্ষ্য করে কোপ মারে, ওই কোপ তার গলার বাম পাশে লাগে এবং গলা কেটে যায়। পরে বাকি আসামিরা আরাফাতকে কুপিয়ে হত্যা করে। এই মামলায় গত বছরের ২৭ এপ্রিল পুলিশ আজাদ হোসেনকে গ্রেফতার করে এবং ৩১ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।চলতি বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি ওই আসামি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। জামিন হাইকোর্টের জামিন আবেদনে আজাদকে মামলার ৩ নম্বর আসামি দেখানো হয় এবং অভিযোগে বলা হয় যে, আসামি আজাদ হোসেন ছোরা দ্বারা খুন করার উদ্দেশ্যে আরাফাতের বাম উরুতে আঘাত করে (মূল এজহারে ছিল গলায়)। এ আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্ট আজাদকে ছয় মাসের জামিন দেন। কিন্তু সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ একেএম মনিরুজ্জামান কবির বিষয়টি জানার পর তা আদালতে উপস্থাপন করেন। পরে ২৯ ফেব্রুয়ারি দেয়া জামিন আদেশ প্রত্যাহার করেন আদালত। গত ৩ দিন ধরে বিষয়টি কার্যতালিকায় থাকলেও আসামির আইনজীবি প্রদীপ কুমার সরকার আদালতে হাজির হননি। পরে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বুধবার বাতিল করে আসামির আইনজীবী, আসামি, জামিন আবেদনের এফিডেভিটকারি এবং নিম্ন আদালত থেকে সার্টিফাইট কপি ইস্যুকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে আইনজীবী প্রদীপ কুমার সরকার সাংবাদিকদের বলেন, মামলার নকল যারা সংগ্রহ করেছে তারাই এ বিষয়টি জানেন। আমি শুধু আইনজীবী হিসেবে মামলা পরিচালনা করেছি। ডেপুর্টি অ্যার্টনি জেনারেল কবীর জানান আজ আদালত জামিন আবেদন পুনরায় করেছেন। এফএইচ/জেএইচ/আরআইপি