নির্দেশনা অনুযায়ী নিয়োগ সংক্রান্ত নথি আদালতে দাখিল না করায় জাতীয় জাদুঘরের সভাপতি, মহাপরিচালক ও সচিবকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২১ মার্চ জাদুঘরের সভাপতি এম আজিজুর রহমান, মহাপরিচালক সেক্রেটারি (বোর্ড অব ট্রাস্টি) ফজলুল লতিফ চৌধুরী ও সচিব ফারুক হোসেনকে হাইকোর্টে হাজির হয়ে নথি দাখিল না করার কারণ ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে।একইসঙ্গে একটি রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন মো. একরামুল হক চৌধুরী। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এএসএম নাজমুল হক।পরে আইনজীবী মো. একরামুল হক সাংবাদিকদের বলেন, এক রিটের শুনানিতে হাইকোর্ট জাদুঘরে ৩৫টি শূন্যপদে নিয়োগ সংক্রান্ত নথি দাখিল করতে নির্দেশ দেয়। নির্দেশ অনুসারে ডকুমেন্ট দাখিল না করায় এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে ২১ মার্চ জাদুঘরের ওই তিনজনকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।রিটের বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৫ অগাস্ট জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষ ১২টি শ্রেণিতে ৩৫টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়। বাছাই কমিটি ২০১৪ সালের ৮ মার্চ ৩৫ জনকে নিয়োগের প্রস্তাব করে। জাদুঘরের ১৫৪তম সভার এক রেজুলেশনে বোর্ড অব ট্রাস্ট্রি প্রস্তাব অনুমোদন না করে নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দিতে বলে। পরে গত বছরের ২০ মে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ তিনটি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৩ সালের ৫ অগাস্ট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে উত্তীর্ণ সুবির শিকদার (মুভি ক্যমেরাম্যান) ও সুস্মিতা বিশ্বাস (সহকারী কিপার, বিশ্ব সভ্যতা) নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে পৃথক পৃথক রিট করেন। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ২ জুন হাইকোর্ট রুল জারি করেন ও নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করেন।এ আদেশের স্থগিতাদেশ চেয়ে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন নিয়ে যায়। গত বছরের ১৩ ও ১৫ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টকে রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।রুল শুনানির সময় আবেদনকারীপক্ষ নিয়োগ সংক্রান্ত ডকুমেন্ট ও নথি দাখিল করার জন্য চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি সম্পূরক আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে ২০ জানুয়ারি হাইকোর্ট ৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ডকুমেন্ট দাখিল করতে নির্দেশ দেন। এফএইচ/এনএফ/পিআর