বগুড়ার শেরপুরে নিখোঁজের ৩৬ ঘণ্টা পর আওয়ামী লীগ নেতা মো. মহরম আলী খানের (৪২) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৪ মে) দুপুরে উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নে বাঙালি নদীর বগুড়া বাজার ব্রিজ এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহত মহরম আলী একই ইউনিয়নের টাকাধুকুরিয়া গ্রামের তায়েজ আলী খানের ছেলে এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান খানের ছোট ভাই। তিনি সীমাবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য পদে দায়িত্বরত।
এছাড়া মহরম আলী ছাত্রজীবনে চান্দাইকোনা ডিগ্রী কলেজ সংসদের জিএসসহ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, বুধবার সকাল ৯টার দিকে বাঙালি নদীর ওপর নির্মিত বগুড়া বাজার ব্রিজের নিচে নদীর পানিতে মরদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পাশাপাশি মরদেহটি মহরম আলী খানের বলে শনাক্ত হয়।
নিহতের বড় ভাই সীমাবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান জানান, সোমবার (২২ মে) বিকেলে বাড়ি থেকে বের হন মহরম আলী খান। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। পরে সম্ভাব্য সব জায়গায় তাকে খোঁজাখুঁজি করা হয়। কিন্তু তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। পাশাপাশি তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। এরইমধ্যে বুধবার সকালে নদীতে মরদেহ ভাসছে এমন খবর পেয়ে সেখানে যাই। একপর্যায়ে উদ্ধারের পর মরদেহটি ছোট ভাই মহরম আলীর বলে শনাক্ত করি।
নিহতের পরিবারের দাবি, পরিকল্পিতভাবে মহরম আলীকে খুন করে মরদেহটি নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা এ প্রসঙ্গে বলেন, বাঙালি নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় মহরম আলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই মুহূর্তে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হবে না। তবে মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বগুড়ার শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পাওয়া গেলেই কেবল মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা ও বলা সম্ভব হবে। এই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এফএ/এমএস