মানবপাচারকারীর খপ্পরে পড়া ২৭ অবৈধ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে মালয়েশিয়ার পেনাং রাজ্যের পুলিশ। এ বিষয়ে আরো তথ্য পেতে সেখানকার প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ আব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস।মালয়েশিয়ার সরকারি সংবাদ মাধ্যম বার্ণামা সূত্রে জানা যায়, উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশিরা মালয়েশিয়া আসার জন্য মানবপাচারকারীদের ১৫ হাজার রিঙ্গিত করে দিয়েছিলেন। পাচারকারীরা তাদের কেবল একবেলা পানি ও রোটি চানাই (পরোটা) খেতে দিত। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২ ফেব্রুয়ারি এই বাংলাদেশিরা কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করেন। পরে এজেন্ট শাহ আলম তাদের কাজের জন্য নিয়ে গেলে অনুমোদন না থাকায় কাজে নিতে অস্বীকৃতি জানান কারখানার মালিকরা। পরে তাদের জহুর বারুতে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেও একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। এরপর গত সোমবার তাদের পেনাং নিয়ে যাওয়া হলে পুলিশ বিষয়টি জানতে পারে। এ সময় তিন মালয়েশীয়কে আটক ও ২৭ বাংলাদেশি শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়।পেনাংয়ের পুলিশ প্রধান দাতো আব্দুল ঘাফার রাজাব সেখানকার সাংবাদিকদের বলেন, তামার দেসা মুরানির একটি দ্বিতল শিল্পভবন থেকে ১৭ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করার সময় তারা শারীরিকভাবে দুর্বল ছিলেন। তাদের কেবল পানি ও রুটি খেতে দেয়া হতো। সিমেন্টের ঠাণ্ডা মেঝেতেই ছিল তাদের শোয়ার জায়গা।উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশিদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বাগান লালাং বাটারওয়ার্থ নামের একটি ওয়ার্কশপ থেকে আরো ১০ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়। এদের কারোরই কাজের অনুমতিপত্র নেই। তাদের কাছ থেকে কেবল পাসপোর্টের ফটোকপি ছাড়া অন্য কোনো কাগজপত্র পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।এ বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করা হলে দূতাবাসের কাউন্সিলর (শ্রম) মো. সায়েদুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, পেনাংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের অনারারি কাউন্সেলর শেখ ইসমাইল বিষয়টি জানার জন্য সেখানকার প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। সঠিক ইনফরমেশন না পাওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না। এনএফ/পিআর