বৃষ্টির দেখা মিললেও চুয়াডাঙ্গায় গরম কমেনি। বুধবার (১৪ জুন) বিকেল ৫টা থেকে শুরু হয়ে প্রায় ১ ঘণ্টা বৃষ্টি হয়। এতে ১২ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, সন্ধ্যায় জেলায় ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে গত ১০ জুন জেলায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। ওইদিন ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। আজও বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে গরম থেকে মুক্তি পায়নি মানুষ। তাপমাত্রা ৩৫-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করেছে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে ভ্যাপসা গরমের সৃষ্টি হয়।
চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, দেশের সর্বত্র মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। কিন্তু কয়েক দিন থেকে মৌসুমি বায়ুর প্রবাহ কমে গেছে। গত ১০ জুন ও আজ একটানা বৃষ্টিপাত হয়েছে। দুদিনে আমরা ৩২ মিলিমিটারের মতো বৃষ্টি রেকর্ড করি। আর এ বৃষ্টিতে শরীরের উত্তাপ ঠাণ্ডা হয় না, গরমে অস্বস্তি আরও বাড়ছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি
তিনি আরও বলেন, বিকেলে চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আর বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৪২ শতাংশ।
আবহাওয়া অফিস আরও জানায়, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশে খুবই দুর্বল অবস্থানে রয়েছে। ঠিকঠাক বৃষ্টি না হওয়ায় মানুষের মধ্যে নানা রোগ-ব্যাধি বাড়ছে। বাড়ছে ডায়রিয়ার পরিমাণ।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. এএসএম ফাতেহ আকরাম বলেন, শিশু থেকে বয়স্ক সব মানুষই জ্বর-সর্দি-কাশিতে ভুগছেন। হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। এ গরমে হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি পান করা দরকার। বেশিক্ষণ রোদে না থেকে ছায়ার মধ্যে অবস্থান করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
হুসাইন মালিক/আরএইচ/জিকেএস