নবায়ন করার জন্য জমা দেওয়ার পর পাঁচ বছরেও এক বীর মুক্তিযোদ্ধা তার পাসপোর্ট ফেরত পাননি। ভুক্তভোগী কালিয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মাকলুকার চৌধুরী নড়াইল আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে তার পাসপোর্ট জমা দিয়েছিলেন।
জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধার মাকলুকার তার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নবায়ন করার জন্য সব নিয়ম-কানুন মেনে ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল নড়াইল আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে জমা দেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ২১ দিন পর অর্থাৎ ওই বছরের ২৩ এপ্রিল পাসপোর্টটি ডেলিভারি দেওয়ার দিন ধার্য করেন।
মাকলুকার চৌধুরী নির্ধারিত দিনে নড়াইল আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে দেখতে পান তার পাসপোর্ট বইয়ের ভেতরে অনেকগুলি পাতা ছেঁড়া। তিনি বিষয়টি নড়াইলের পাসপোর্ট অফিসের যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন। তখন তারা পাসপোর্টটি ঠিক করে পরে ডেলিভারি দেওয়া হবে বলে তাকে জানান। কিন্তু পরবর্তীকালে একাধিকবার অফিসে গিয়ে তার পাসপোর্ট ফেরত দিতে অনুরোধ করলেও অদ্যাবধি তাকে পাসপোর্টটি দেওয়া হয়নি। তিনি বহুবার নড়াইলসহ ঢাকার আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে ধরনা দিয়েও কোনো লাভ হয়নি।
ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা মাকলুকার চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, আমি একজন ওপেন হার্ট সার্জারির রোগী। পাসপোর্ট ডেলিভারি না দেওয়ায় ভিসা নিয়ে ভারতে চিকিৎসার জন্য যেতে পারছি না। আমি আর্থিক সুবিধা দিতে না পারায় পাঁচ বছর অতিবাহিত হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমার পাসপোর্টটি ফেরত দিচ্ছে না। বরং বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে আমাকে হয়রানি করছে।
তিনি বলেন, পাসপোর্ট অফিসের যারা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তদন্ত করে তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি, আমার পাসপোর্টটি যাতে দ্রুত ফেরত পেতে পারি তার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ প্রসঙ্গে নড়াইল আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পাসপোর্টধারী ব্যক্তিকে অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন। বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা নেবো।
হাফিজুল নিলু/এমআরআর/এএসএম