বরিশালের গৌরনদী উপজেলার শরিকল ইউনিয়নের কুরিরচর গ্রামে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার পরপরই আটক ৭ বিএনপি কর্মী রাজু হাওলাদার, সজীব হাওলাদার, বাবুল সরদার, হারুন-অর রশিদ আকন, সজীব বেপারী, নুরে আলম প্যাদা ও ওসমান প্যাদাকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রোববার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শনিবার দুপুরে ওই সংঘর্ষের পর রাতেই আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফারুক মোল্লার কর্মী সরদার মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী মঞ্জুর হোসেন মিলন ও তার স্ত্রী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী খালেদা পারভীনসহ স্থানীয় বিএনপির ৫২ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা দেড়শ জনকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করেন। গৌরনদী থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলাউদ্দিন মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে জানান, নৌকা মার্কার কর্মী-সমর্থকরা কুরিরচর গ্রামে নির্বাচনী প্রচারণায় গেলে তাদের চারদিক থেকে ঘেরাও করে হামলা চালায় ধানের শীষের লোকজন। এসময় বিএনপির লোকজন একাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। হামলার মুখে প্রাণ ভয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীরা মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। পরে বিএনপি কর্মীরা তাদের ফেলে যাওয়া ৩টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। এ মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে ওসি জানিয়েছেন। এদিকে, এই মামলাকে হয়রানিমূলক দাবি করে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী মঞ্জুর হোসেন মিলন বলেন, তার বাড়িতে হামলা করলো আওয়ামী লীগ, মারধর করা হলো তার সহধর্মীণিকে, এখন আবার মামলাও হলো তিনিসহ দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঠ ছাড়া করে খালী মাঠে গোল দেয়ার জন্যই এই মামলা দায়ের করেছে বলে অভিযোগ করেন মিলন।সাইফ আমীন/এমএএস/এবিএস