দেশজুড়ে

তিন মাস ধরে নিখোঁজ কিশোরী, ফিরে পেতে বাবা-মায়ের আকুতি

সৎ খালার সেবার জন্য মাদরাসাছাত্রী শিলা বেগমকে (১৫) ঢাকার হাসপাতালে নিয়ে যান সৎ মামা। এরপর তাকে আর ফেরত দেননি মামা। শিলার পরিবারকে জানানো হয় হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছে সে। তিন মাসেও সন্ধান মেলেনি তার।

শিলা বেগম কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর শহরের চন্ডিবের এলাকার অটোচালক আশরাফ উদ্দিনের মেয়ে। সে স্থানীয় ঘোড়াকান্দা হাফসা মাদরাসার ছাত্রী। সন্তানের খোঁজ না পেয়ে ১১ মে মামা ও খালাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ আদালতে মামলাও করেছেন শিক্ষার্থীর মা রুনা বেগম। ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৫ মার্চ সকালে মাদরাসা যাওয়ার পথে শিলা বেগমকে মামা শাপলা মিয়া ঢাকায় নেওয়ার কথা বলে গাড়িতে ওঠান। গাড়িতে থাকা অবস্থায় শিলার মা রুনা বেগমকে বলা হয় খালা চম্পা বেগম ঢাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার সেবাযত্ন করতে শিলাকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।

১৮ মার্চ শিলার মাকে জানানো হয় সে হাসপাতাল থেকে পালিয়েছে। তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ খবর শুনে মা রুনা ও বাবা আশরাফ উদ্দিন দ্রুত ঢাকার শিশু হাসপাতালে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে মেয়েকে না পেয়ে রুনা ভাই ও বোন চম্পাকে চাপ দিলেও তার খোঁজ দিতে পারেননি। পরে শেরে বাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন রুনা। পরবর্তীতে কিশোরগঞ্জ আদালতে মামলা করেন। মামলাটি এখন পুলিশ তদন্ত করছে।

মা রুনা বেগম বলেন, আমার আদরের মেয়েকে সৎভাই ষড়যন্ত্র করে কোথায় নিয়ে গেছে আমি জানি না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ধরনা দিয়েও মেয়েকে উদ্ধার করতে পারছি না। পুলিশ বলছে তারা চেষ্টা করছে। আমার মেয়েকে ফেরত চাই।

এ বিষয়ে শিলার সৎ মামা শাপলা মিয়া বলেন, আমার ছোটবোনের অসুস্থতায় তার সেবা করতে শিলাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তিনদিন পর শিলা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছে। অনেক খুঁজেও তার সন্ধান পাচ্ছি না।

বোন চম্পা বেগম বলেন, এমন ঘটনা ঘটবে জানলে তাকে আমার ভাই হাসপাতালে আনতো না। বিষয়টি নিয়ে আমরাও চিন্তিত।

ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আলমগীর জাগো নিউজকে বলেন, মামলার পর বিষয়টি তদন্ত করতে গিয়ে আমি হিমশিম খাচ্ছি। রোববার আমি ঢাকায় গিয়ে এ বিষয়ে তদন্ত করতে যাই। মেয়ের কোনো সন্ধান এখনো পাইনি। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে চেষ্টা করছি মেয়েটিকে উদ্ধার করতে।

রাজীবুল হাসান/এসজে/এএসএম