বিনোদন

গার্ড অব অনার ও ফুলেল শ্রদ্ধায় সিক্ত কবি রফিক আজাদ

‌‘ভাত দে হারামজাদা/তা না হলে মানচিত্র খাবো’- কবিতার এই লাইন দুটিই যথেষ্ট কবি রফিক আজাদকে পরিচয় করিয়ে দিতে। এই বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি চলে গেছেন না ফেরার দেশে। আর কোনোদিন তিনি কলম ধরবেন না, লিখবেন না- ‘যদি ভালবাসা পাই আবার/ শুধরে নেব জীবনের ভুলগুলো...’সেই ১৯৪১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল থেকে যে জীবনের শুরু হয়েছিলে ৭৬ বছরের পথচলায় রাজধানী ঢাকায় তার ইতি হলো গেল শনিবার, ১২ মার্চ। গেল ১৫ জানুয়ারি ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি হন কবি। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ  থেকে ওই হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাকে। ৫৮ দিন যাবত লাইফ সাপোর্টে রাখার পর শুক্রবার সকাল থেকে তাঁর রক্তচাপ পাওয়া যাচ্ছিল না। এতে ক্রমান্বয়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। অবশেষে শনিবার দুপুর ২টা ১০ মিনিটে চলে গেলেন কবি।তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে শিল্প-সাহিত্য তথা সংস্কৃতি অঙ্গনে। সবাই ছুটে গেছেন কবিকে শেষবারের মতো এক পলক দেখবেন বলে। কবির চার ছেলে ও দুই মেয়ে। এক ছেলে অভিন্ন আজাদ ছাড়া সবাই কবির কাছেই রয়েছেন। তােই অপেক্ষা ছিলো অভিন্ন’র জন্য। তিনি কানাডায় থাকেন। বাবাকে দেখতে আজ সোমবার ভোরবেলায় দেশে এসে পৌঁছান। তারপর সব প্রিয়জন আর বন্ধু-স্বজনদের সান্নিধ্যে আজ চলছে কবিকে শেষ বিদায়ের আয়োজন। সোমবার সকাল ১০টায় কবির মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ তাকে অশ্রুভেজা ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। সেখানে হাজির ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরসহ নানা অঙ্গনের স্বনামধন্য ব্যক্তিত্বরা। শ্রদ্ধা জানানোর আগে বীর মুক্তিযোদ্ধা কবিকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানাতে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর পর কবির মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে কবির প্রিয় স্থান বাংলা একাডেমিতে। সেখানে জানাজা শেষে তাকে মিরপুরে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গেছে। সেখানেই দেশের সূর্য সন্তান বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে সমাহিত হবেন কবি রফিক আজাদ। এলএ