দেশজুড়ে

পর্যটক নেই মৌলভীবাজারের বিনোদনকেন্দ্রে

বৈরী আবহাওয়ায় কারণে ফাঁকা হয়ে আছে মৌলভীবাজারের পর্যটন স্পটগুলো। টানা বৃষ্টিতে গৃহবন্দী হয়ে আছেন স্থানীয়রা। একই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকরা সময় কাটাচ্ছেন হোটেল রিসোর্টে। সব মিলেয়ে চিরচেনা সেই রূপ যেন বিলীন হয়ে গেছে বৃষ্টির সঙ্গে।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ঈদের দিন থেকে বিদেশি পর্যটকসহ ২৯৪ জন পর্যটক রয়েছেন। এর মধ্যে বিদেশি ২৭জন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সাধারণ ছুটির দিনের চেয়েও এবারের ঈদে পর্যটক সংখ্যা অনেক কম। তবে কোরবানির ঈদে এমটাই হয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

শনিবার (১জুলাই) বিকেলে শ্রীমঙ্গলের বধ্যভূমি-৭১, বিটি আর আই, চা বাগান, পদ্মছড়া লেক, বিভিন্ন কটেজ ও লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে হাতে গুনার কয়েকজন পর্যটকে ঘুরতে দেখা গেছে।

আরও পড়ুন: ‘বাজারদর’ নিয়ে প্রশ্ন করতেই চলে গেলেন বাণিজ্যমন্ত্রী

মৌলভীবাজারের ভ্রমণ পিপাসু আবু বকর জাগো নিউজকে বলেন, সারাদিন বৃষ্টি থাকায় আমাদের ঈদের আনন্দ আজ গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে। আমরা কোথাও বেড়াতে যেতে পারিনি। ঘরে বসে বিরক্তিকর সময় কাটাচ্ছি।

ট্যুরিস্ট গাইডের সদস্য মৌলভীবাজারের মোতাহির আলম জাগো নিউজকে বলেন, এই ছুটিতে পর্যটকের উপস্থিতি খুবই কম। বৈরী আবহাওয়ায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পর্যটকরা বেড়াতে এসে বিড়ম্বনায় পড়েছেন। ছুটি শেষ, সময়ের অভাবে আর ঘুরতে পারবে না বলছেন পর্যটকরা।

ট্যুরিস্ট পুলিশ দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক প্রবাল সিনহা বলেন, লাউয়াছড়ায় সাধারণ সময়ে যে ভিড় থাকে ঈদের ছুটিতে সেই ভিড় নেই বললেই চলে। রাস্তাগুলোও ফাঁকা।

মৌলভীবাজার পর্যটন সেবা সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সেলিম আহমদ জাগো নিউজকে বলেন, লম্বা ছুটিতে বেশি পর্যটক আসবে। সেই অপেক্ষায় থাকি। এই কোরবানির ঈদে যে ভাবে আশা করেছিলাম সে রূপ আসেনি। যারা আসছিল বৃষ্টির কারণে তারা হোটেল মোটেল ও রিসোর্টেই সময় কাটাচ্ছেন। বৃষ্টির জন্য বের হতে পারেননি। স্পট ঘুরে দেখা হয়নি তাদের। অনেকেই এখন যাবার চিন্তায় আছেন। সব মিলিয়ে আমাদের লাভ না হলেও লোকসান হয়নি।

আরও পড়ুন: কাঁচা মরিচের ঝালে দিশেহারা মানুষ

বন বিভাগের সহকারী বন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, কোরবানির ঈদে এমনিতেই পর্যটকদের উপস্থিতি কম থাকে। স্থানীয় ভ্রমণ পিপাসুরা ঈদের আনন্দ বিলাতে বেশি আনাগোনা করেন। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ঈদে লাউয়াছড়াসহ বিভিন্ন স্পটে পর্যটকের সংখ্যা খুবই কম।

তিনি আরও বলেন, বাইরের পর্যটক কম এসেছে। ঈদের দিন থেকে বিদেশি পর্যটকসহ সারাদিন ২৯৪ জন পর্যটক ছিলেন। রাশিয়ান পর্যটক ছিলেন ২৭ জন। এ পর্যন্ত লাউয়া ছড়ায় রাজস্ব আয় হয়েছে ৫৫ হাজার ৯৮২ টাকা। অন্যান্য সময় ঈদের মৌসুমে লাউয়াছড়ায় প্রতিদিন কমপক্ষে তিন থেকে পাঁচ হাজার পর্যটক প্রবেশ করেন। সে তুলনায় বর্তমান এই সংখ্যা খুবই কম।

আব্দুল আজিজ/জেএস/জেআইএম