জাতীয়

বাংলাদেশ ব্যাংক আমার সন্তানের মতো

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮শ কোটি টাকা চুরির ঘটনায় ব্যাংকটির গভর্নরের পদ থেকে পদত্যাগ করা ড. আতিউর রহমান বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক তার সন্তানের মতো। তার অবহেলার কারণে এই ব্যাংক থেকে টাকা চুরি যাবে, সে বিষয়টা বিশ্বাস করতেও তার কষ্ট হয়।  মঙ্গলবার বিকেলে গুলশানে গভর্নরের সরকারি বাসভবন ‘গর্ভনর হাউজ’-এ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ড. আতিউর রহমান। তিনি আরো বলেন, ‘আমি চাই না রিজার্ভের চুরির ঘটনা নিয়ে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি হোক। তাই বিতর্ক এড়াতে সেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি।’সন্তানের মতো ব্যাংকে তিলে তিলে ২৮ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ গড়ে তুলেছি বলেও মন্তব্য করেন আতিউর রহমান।  জামালপুরের ছেলে আতিউর রহমান বলেন, ব্যাংলাদেশ ব্যাংক এখন বিশ্বের কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমি চাই না, বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ে কোনো বিতর্ক হোক। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নিয়ে সমস্যা হোক। তাই স্বেচ্ছায় মোরাল রেসপনসিবলিটি (নৈতিক দায়িত্ব) নিয়ে পদত্যাগ করেছি। আমি চাই দেশে-বিদেশে যারা জড়িত তাদের শাস্তি হোক।সাত বছর গভর্নরের দায়িত্ব পালন করা আতিউর এই সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেও ভোলেননি। তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমি কৃতজ্ঞ, তিনি তিলে তিলে আমায় গড়ে তুলেছেন। দীর্ঘ সাত বছরে বাংলাদেশ ব্যাংক কোথা থেকে কোথায় এসেছে, আপনারা তা জানেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার নির্দেশে চালিয়েছি।’নিজের বিদায় নেয়ার সময়টাকে বাংলাদেশের অর্থনীতির সবচেয়ে স্থিতিশীল সময় উল্লেখ করে আতিউর রহমান বলেন, প্রবৃদ্ধির বিচারে আমরা দ্বিতীয় হবো বলা হচ্ছে। রিজার্ভ প্রায় ২৮ বিলিয়ন এবং মূল্যস্ফীতি প্রথমবারের মতো ছয় শতাংশের নিচে এসেছে। দেশের ৭৯ শতাংশ মানুষ ব্যাংকিং সেবা পাচ্ছে।রিজার্ভ চুরির পর ভারত যাওয়াকে বড় ঘটনার পটভূমি করার কোনো কারণ ছিল না উল্লেখ করে আতিউর রহমান বলেন, আমি যে দিল্লিতি গিয়েছিলাম, সেটা নিয়ে অনেক প্রশ্ন। আমি ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির আমন্ত্রণে গিয়েছিলাম। সেখানে আইএমএফের চিফ ছিলেন, তাদের সেঙ্গ কথা বলেছি। অনলাইনে সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নিয়েছি। সেটাকে বড় ঘটনা করার কোনো পটভূমি ছিল না।এসআই/এনএফ/আরআইপি