দেশজুড়ে

পুকুর থেকে আওয়ামী লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা

কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি বাদল রহমানের (৬২) মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়েছে।

সোমবার (১০ জুলাই) বিকেলে বাদলের বড় ছেলে আসিফুর রহমান শাহিল বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় এ মামলা করেন। এ মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, স্ত্রীর মৃত্যুর পর দুই মাস আগে বাদল রহমান দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বিয়ের পর নিজের বাসা ছেড়ে দ্বিতীয় স্ত্রী আয়েশা রহমানকে নিয়ে খড়মপট্টি এলাকায় ভাড়া বাসায় ওঠেন। দুই ছেলে থাকতেন নিজেদের বাসায়। তাদের একজন ব্যবসা করেন, আরেকজন পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি করছেন।

মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, দ্বিতীয় বিয়ের পর বাদল রহমান মানসিক ও আর্থিক সংকটে পড়েন। গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভাড়া বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। পরদিন সকালে শহরের একটি পুকুরে তার মরদেহ পাওয়া যায়। বাদল রহমানকে শ্বাসরোধে কিংবা অন্য কোনোভাবে হত্যা করে গুম করার জন্য মরদেহ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

আসিফুর রহমান শাহিল বলেন, আমাদের সন্দেহ বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। আশা করছি, পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে জড়িতদের গ্রেফতার করবে। আমরা বাবা হত্যার সুষ্ঠু বিচার পাবো।

কিশোরগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনতোষ বিশ্বাস মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নানা দিক বিবেচনায় নিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় কাউকে এখন পর্যন্ত আটক করা হয়নি।

এর আগে রোববার (৯ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে কিশোরগঞ্জ শহরের চর শোলাকিয়া এলাকার ব্যাপারীবাড়ির পুকুর থেকে বাদল রহমানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি নিকলী উপজেলার দামপাড়া ইউনিয়নের ধীরুয়াইল এলাকার মুখলেছুর রহমানের ছেলে। তবে তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা শহরেই স্থায়ীভাবে থাকতেন।

এসকে রাসেল/এমআরআর/জেআইএম