কিশোরগঞ্জে বিএনপির পদযাত্রা থেকে পুলিশের ওপর হামলার (পুলিশ এসল্ট) অভিযোগে মামলা হয়েছে।
বুধবার (১৯ জুলাই) সকালে সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফজলুর রহমান বাদী হয়ে ১৯ জনের নামে এ মামলা করেন। পাশাপাশি আরও ৬০-৭০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, হামলার ঘটনায় ১৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ অভিযোগে মামলাটি হয়েছে। এজাহারে জেলা যুবদলের সভাপতি খসরুজ্জামান শরীফ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব আবু নাসের সুমন ও জেলা যুব দলের সাংগঠনিক সম্পাদক তারেকুজ্জামান পার্নেলসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা রয়েছে। অন্যরা অজ্ঞাতনামা। তবে এ মামলায় এখন পর্যন্ত কোনো গ্রেফতার নেই।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, যুবদলের সম্পাদকসহ গুলিবিদ্ধ ১০
মঙ্গলবার দুপুরে পৌরশহরের রথখলা এলাকায় বিএনপির পদযাত্রায় পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৭৭ রাউন্ড রাবার বুলেট ও এক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
এ ঘটনায় বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী এবং ১৩ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল গুরুদয়াল সরকারি কলেজ মাঠ থেকে রথখলা ময়দান পর্যন্ত। রথখলা খোলা ময়দান পার হয়ে সামনের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষে পুলিশের ছোড়াগুলিতে জেলা বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এসকে রাসেল/এসজে/এএসএম