দেশজুড়ে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট নিয়ে শঙ্কিত বিএনপি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে জেলা বিএনপি। বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের কলেজপাড়াস্থ জেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচির বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির পক্ষ থেকে এ অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও মেয়র প্রার্থী হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি।সংবাদ সম্মেলনে হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন কাউন্সিলর প্রার্থীদেরকে দলীয় নেতাকর্মীদের দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে নৌকা মার্কার জনসভায় মিছিল নিয়ে আসতে বাধ্য করা হচ্ছে। আ.লীগের কাউন্সিলর প্রার্থীদেরকে দিয়ে বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে- ‘মেয়র পদে প্রকাশ্য ভোট দিবে, কাউন্সিলরের ভোট গোপনে হবে’। আ.লীগ ও পুলিশ আতঙ্কে সর্বস্তরের ভোটাররা শঙ্কিত। এ অবস্থার উন্নতি না হলে পৌর নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না।তিনি বলেন, আ.লীগ নেতাকর্মীদের মুখে মুখে এখন আতঙ্ক সৃষ্টিকারী শ্লোগান- ‘আমার ভোট আমি দেবো, যত খুশি তত দেবো’। এসব স্লোগানকে রুখে দিয়ে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেবো’- এই ক্ষেত্র তৈরির জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশের বিরুদ্ধে দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানির অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের দলীয় ৪৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিলের পর থেকেই গ্রেফতারের ভয়ে তিনি গণসংযোগ করতে পারছেন না। পুলিশি বাধার কারণে কোনো নির্বাচন কার্যালয়ও করতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন।সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, দফতর সম্পাদক মমিনুল হক, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. মনির হোসেন প্রমুখ।প্রসঙ্গত, আগামী ২০ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন ও কাউন্সিলর পদে ৭০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।আজিজুল আলম সঞ্চয়/এফএ/পিআর