দেশজুড়ে

শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলা: আবারও পেছালো সাক্ষ্যগ্রহণ

কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া জঙ্গি হামলার সাক্ষ্যগ্রহণ আবারো পিছিয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) কিশোরগঞ্জ আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণের ধার্য তারিখ ছিল। কিন্তু একজন আসামি অনুপস্থিত থাকায় সাক্ষ্য নেননি আদালত।

এর আগে ৬ জুন সাক্ষ্যগ্রহণের ধার্য তারিখ ছিল। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ পেছালো। কিশোরগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. বিল্লাল হোসেন জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, জেল সুপার ও কারা মহাপরিদর্শককে আগামী ধার্য তারিখে আসামিদের আদালতে উপস্থিত করতে বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক আদেশ দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবু নাসের মো. ফারুক সঞ্জু জাগো নিউজকে বলেন, জঙ্গি হামলার ঘটনায় সন্ত্রাস দমন আইনে করা মামলাটি বর্তমানে সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতে বিচারাধীন আছে। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ছিল। কিন্তু মো. সবুর খান হাসান ওরফে সোহেল অন্য একটি জঙ্গি মামলায় রাজশাহী কারাগারে থাকায় আইনি বাধ্যবাধকতায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। ফলে ধার্য তারিখে সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। মূলত আসামিদের কারণে মামলাটি বিলম্বিত হচ্ছে।

এ আইনজীবী আরও বলেন, ২৯ আগস্ট আবারো সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে। আদালতে অন্য আসামি ও মামলার বাদীসহ মোট ১৭ সাক্ষী উপস্থিত ছিলেন। আশা করছি আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের পর আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হবে।

আরও পড়ুন: ১৯ আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত, বিচার চলছে ৫ জনের

আসামিরা হলেন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধি ওরফে সুভাস ওরফে জাহিদ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, মো. সবুর খান হাসান ওরফে সোহেল, মাহফুজ ওরফে মুসাফির ওরফে জয় ওরফে নুরুল্লাহ, জাহেদুল হক ওরফে তানিম ও আনোয়ার।

২০১৬ সালের কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাতে জঙ্গিরা পুলিশের নিরাপত্তা চৌকির ওপর গ্রেনেড হামলা চালায়। এ সময় চাপাতি ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে পুলিশের দুই সদস্য জহিরুল ইসলাম ও আনসারুল হককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্য সদস্যদের সঙ্গে জঙ্গিদের বন্দুকযুদ্ধ চলে অনেকক্ষণ। জঙ্গি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে গৃহবধূ ঝর্ণা রানী ভৌমিক মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। আর পুলিশের গুলিতে জঙ্গি আবির রহমান নিহত হন।

জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় আটজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছিলেন। ঘটনাস্থলে দায়িত্বে থাকা তৎকালীন পাকুন্দিয়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুদ্দিন বাদী হয়ে জঙ্গি শফিউল ইসলাম ও জাহিদুল হক তানিমের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা জঙ্গিদের আসামি করে মামলা করেন। ২৪ আসামির মধ্যে বিভিন্ন সময় বন্দুকযুদ্ধে ১৯ জন মারা যান। তাদের বাদ দিয়ে এ ঘটনায় পুলিশ ২০১৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর আদালতে পাঁচজনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

এসকে রাসেল/এসজে/এমএস