কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মিছিলের প্রস্তুতির সময় কিশোরগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর ১৫ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (৩০ জুলাই) সকালে শহরের একরামপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করে সদর মডেল থানা পুলিশ।
আটকরা হলেন জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি খালিদ হাসান জুম্মন, করিমগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সেক্রেটারি আতাউর রহমান, সদর উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুল ওয়াহাব, ছাত্রশিবিরের বাজিতপুর উপজেলা শাখার সভাপতি আব্দুল হাকিম, পাকুন্দিয়া উপজেলা উত্তর শাখার সেক্রেটারি সাইফুল্লাহ মানসুর, আব্দুল খালেক, আব্দুর রহমান, আবু সালেহ, মো. মোখলেছ, মো. ইয়াসিন, ফাইজ উদ্দিন, ডা. আব্দুল হাই, মো. জিল্লুর রহমান, আব্দুল ওয়াহাব ও সাকিব।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলা আমীর অধ্যাপক মো. রমজান আলী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমীর ডা. শফিকুর রহমানসহ নেতাকর্মী ও আলেম ওলামাদের মুক্তি এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সকাল ৮টায় শহরের একরামপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বিক্ষোভ শুরু করার জন্য জামায়াতের কর্মীরা একত্রিত হন। তবে পুলিশের বাধায় মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এসময় মিছিলের স্থান থেকে পুলিশ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার আটক করেছে।
তিনি আরও বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ বা মামলা ছিল না। তাদের বিনা ওয়ারেন্টে হয়রানির উদ্দেশ্যে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার নিন্দা জানাই ও তাদের মুক্তি চাই।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ জামায়াত-শিবিরের ১৫ নেতাকর্মীকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এসকে রাসেল/এমআরআর/জিকেএস