শনিবার ইডেনে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ধোনির দল বিশ্বকাপে টিকে থাকার লড়াইয়ে খেলতে নামবে, তার কয়েক ঘন্টা আগে দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায়ও মুখোমুখি হয়ে যাচ্ছে ভারত এবং পাকিস্তান। নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের টিকিটের খোঁজে লড়াইয়ে নামবে মিতালি-ঝুলন এবং সানা মির-বিসমাহ মারূফরা।দু’টোই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। দু’টোই ভারত-পাকিস্তান মহারণ। পার্থক্যের মধ্যে একটা ছেলেদের, অন্যটা মেয়েদের। কোটলার মেগা ম্যাচের আগে ভারতের মিতালি-ঝুলন শুধু নন, তাঁদের কোচ পূর্ণিমা রাও যা বললেন তার সারমর্ম, ‘পাকিস্তান ভাল দল। তবে আমাদের দলও যথেষ্ট ভাল। তার উপর আমরাও তো মাস দেড়েক আগে অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে ওদের দেশে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারিয়ে এসেছি। ফলে আমাদের মনোবল এই মুহূর্তে তুঙ্গে। তাই পাকিস্তান ম্যাচ বলে বাড়তি চাপে নেই আমরা।’মিতালি-ঝুলন, ভারতের বতর্মান ও সাবেক অধিনায়ক, দু’জনেরই এটা পঞ্চম বিশ্বকাপ। ঝুলন বললেন, ‘২০০৯ থেকে বিশ্বকাপ খেলছি। প্রথম দুটো বিশ্বকাপে আমরা ততটা তৈরি ছিলাম না। তবে পরের দুটোতে অনেকটা তৈরি হয়ে নামতেই দুবারই সেমিফাইনালে উঠেছিলাম। এবার আমরা পুরোপুরি তৈরি। এই ভারতীয় দল গত দেড় বছর একসঙ্গে খেলছে। তবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা এখনই ভেবে নিজেদের চাপে রাখতে চাই না। আমাদের প্রথম লক্ষ্য সেমিফাইনাল।’ঝুলন যতই সতর্ক মন্তব্য করুন, ভারতীয় মেয়ে ক্রিকেট দলের এই মুহূর্তে সেরা ব্যাটসম্যান, যিনি বিরাট কোহালির মতোই ওয়ান ডাউন ক্রিজে আসেন, যাকে ‘মেয়েদের বীরেন্দর শেবাগ’ বলা হয়, সেই হরমনপ্রীত কৌর চাঁচাছোলা ভাবে বলে দিলেন, ‘নিজেদের দেশে বিশ্বকাপ জেতার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে আমাদের। ঠিক আমাদের ছেলেদের টিমের মতোই। সেই সুযোগ কিছুতেই হারাতে চাই না। আমার প্রেরণা সহবাগ। দেখা করে টিপসও নিয়েছি। সেগুলো বিশ্বকাপে কাজে লাগাব।’ তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে আমরা আগেও খেলেছি। তবে এখন ওদের টিমে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তাই হালকা ভাবে নিচ্ছি না। পা পিছলে যেতে কতক্ষণ? দু’দিন আগে ধোনিদের ম্যাচ দেখে সেটা আরও শিখেছি।’আইএইচএস/আরএস