ক্যাম্পাস

ইসলামী বিশ্ববদ্যালয়ে ৬ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

ইসলামী বিশ্ববদ্যালয়ে (ইবি) কর্মবিরতির নামে হয়রানি বন্ধ ও পোষ্য কোটায় নির্ধারিত নম্বরে ভর্তিসহ ছয়দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৫ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে প্রশাসন ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা।

দাবিগুলো হল- শূন্য নম্বরে নয়- যোগ্যতায় ভর্তি (পোষ্য কোটায়), ই-ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করা, ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত অনলাইন ক্লাসের জন্য ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ বৃদ্ধি, পরিবহন ভোগান্তি নিরসন ও ছুটির দিনে পর্যাপ্ত পরিবহন সেবা প্রদান, সার্টিফিকেট উত্তোলনে ভোগান্তি নিরসন ও কর্মকর্তাদের কর্মবিরতির নামে হয়রানি বন্ধ করা।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, কর্মকর্তাদের সন্তানদের অনুত্তীর্ণ ফলাফলের গ্লানি ক্লাসের ৭০ জনকে বইতে হয়। এতে চার মাসের সেমিস্টার ৯ মাস পর্যন্ত চলে যায়। প্রশাসনকে এ বিষয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাছাড়া আমাদের নিরবচ্ছিন্ন পরিবহন থাকে না। ৪৪ বছরে পদার্পণের পরেও ই-ব্যাংকিং সেবা শুরু করা হয়নি। সব বিশ্ববিদ্যালয়ে মত আজও শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ফলাফল দেখতে পারছেন না।

আরও পড়ুন: ইবিতে নিরাপত্তার দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালামের কার্যালয়ে এসব দাবি তুলে ধরেন। এসময় কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক শাহাদাৎ হোসেন আজাদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার জোদ্দার, পরিবহন প্রশাসক আনোয়ার হোসেন সহ আরো শিক্ষকরা।

এসময় শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেন ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম বলেন, আমরা প্রত্যাশা করি বিশ্ববিদ্যালয় ভালো চলুক। কর্মকর্তাদের দাবি করার ব্যাপারে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু তাদের চেয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গুরুত্ব অনেক বেশি। বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা হচ্ছে সহায়ক আর মূল হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী। আর দাবিগুলো আমরা সমাধান করছি। আমরা বসে নেই বরং সমাধানের পর্যায়ে রয়েছি।

রুমি নোমান/আরএইচ/জেআইএম