বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গিয়ে একটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ট্রলারে থাকা ১৩ জন অন্য আরেকটি ট্রলারে উঠতে সক্ষম হলেও বশির উল্যাহ (৬০) নামে একজন নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি ট্রলারের ইঞ্জিন মেস্তুরি।
সোমবার (৭ আগস্ট) দিনগত রাতে নোয়াখালীর হাতিয়া সংলগ্ন গভীর সমুদ্রে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকালে রামগতি বড়খেরী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) ফেরদৌস আহম্মদ জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিখোঁজ বশির কমলনগর উপজেলার বাসিন্দা। তবে তার বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। ডুবে যাওয়া ট্রলারটির মালিক রামগতি উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চর আবদুল্লাহ এলাকার নুরনবী মাঝি। ট্রলার থাকা অন্য ১৩ জন জেলে চর আবদুল্লাহ এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে নৌকা ডুবে তরুণ নিখোঁজ
ট্রলার মালিক নুর নবীর ভাই নোমান চৌকিদার জানান, রামগতি থেকে গিয়ে ট্রলারটি হাতিয়া দ্বীপের কাছাকাছি ছিল। সোমবার সকালে ট্রলার নিয়ে ১৪ জন মাঝিমাল্লা সাগরের গভীর অংশে মাছ শিকারে যায়। উত্তাল সাগরে মাছ ধরা সম্ভব হবে না বলে তারা তীরে ফেরের পরিকল্পনা করে। সেখান থেকে ফেরের সময় সাগরের একটি ঢেউয়ের আঘাতে ট্রলারটি কাত হয়ে ডুবে যায়। তাৎক্ষণিক ট্রলারের মাঝিসহ ১৩ জন সাঁতরে আরেকটি ট্রলারে উঠে পড়ে। কিন্তু ইঞ্জিন মেস্তুরি বশির উঠতে পারেনি। তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। অন্যরা নিরাপদে বাড়ি ফিরেছেন।
রামগতি বড়খেরী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) ফেরদৌস আহম্মদ বলেন, সাগরে মাছ ধরার ট্রলার ডুবে একজন নিখোঁজ রয়েছে। একই ট্রলারে থাকা ১৩ জন জেলে রাতেই নিরাপদে রামগতির টাংকি মাছঘাটে পৌঁছেছেন। একজন নিখোঁজ রয়েছেন।
কাজল কায়েস/জেএস/জেআইএম