জাতীয়

এমন গণমাধ্যম কখনো দেখিনি

অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন। এই প্রথম স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকায় গণমাধ্যমগুলো অধিক গুরুত্ব দিয়ে সংবাদ প্রচার করেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।ধারণা করা হয়েছিল, দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় সহিংসতার ঘটনা ঘটতে পারে। সরকার সমর্থিত প্রার্থীরা জোর করে বিজয় ছিনিয়ে নেবে। কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেলো তেমন কোন সহিংসতার ঘটনাই ঘটেনি।মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিকেল পর্যন্ত ঢাকার পাশ্ববর্তী মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার অধীনে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সংবাদ সরাসরি প্রচার করতে জাগো নিউজ টিম পর্যবেক্ষণ করে।তবে একটি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সঙ্গে বিএনপি প্রার্থীদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।  তাৎক্ষণিকভাবে গণমাধ্যম ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতির কারণে অপ্রীতিকর ঘটনাটি বেশিদূর গড়ায়নি।বেশ কয়েকটি কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করতে যাওয়ার পর অনেক ভোটার ও নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তার একটাই প্রশ্ন ছিল, এর আগে কখনো এত গণমাধ্যমে স্থানীয় সরকার নির্বাচন কাভার করতে আসেনি।অনেকে আবার এও বলেন, গণমাধ্যমের সক্রিয় ভূমিকা থাকলে জাতীয় পর্যায়ের নির্বাচনেও অনিয়ম অনেক কমে যাবে।এদিকে মঙ্গলবার উপজেলার ১৪টি ইউপির মধ্যে ১০টি ইউপির ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।ইউনিয়নগুলো হচ্ছে : বালুচর, বাসাইল, বয়রাগাদি, ইছাপুরা, জৈনসার, কোলা, লতুব্দি, মধ্যপাড়া, মালখানগর ও রসূনিয়া।জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, ১০টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মোট প্রার্থী ৬৩ জন এবং ভোটার সংখ্যা এক লাখ ২০ হাজার ৮৫৪ জন।অবশিষ্ট চারটি ইউনিয়ন চিত্রকোট, শেখরনগর, কেয়াইন, রাজানগরে আগামী ৪ জুন ভোট গ্রহণ হবে। আগামী ২৬ জুন পর্যন্ত জেলার ৬৭ ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।এমএম/জেইউ/এসএইচএস/আরআইপি