‘আওয়ামী লীগকে ভালোবাসি, নৌকাকে ভালোবাসি। আমরা গরিব মানুষ, শেখ হাসিনাকে দেবার মতো কিছু নেই। শ্বশুরবাড়ি গেলেও মিষ্টি নিয়ে যেতে হয়। এজন্য আমাদের মাথায় নৌকা আকৃতির চুলের কাটিং করে আওয়ামী লীগের মিছিলে গিয়ে শেখ হাসিনাকে নৌকা উপহার দিয়েছি।’
কথাগুলো বলছিলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানি ইউনিয়নের শালিয়া গ্রামের মো. রনি ও সাকেদ্দা কোলা গ্রামের উমর আলী। রনি রাজমিস্ত্রির কাজ করেন আর উমর আলী একজন ইজিবাইকচালক। তাদের ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের চুলের কাটিং দেখতে উৎসুক মানুষ তাদের বাড়িতে ভিড় করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) জেলা আওয়ামী লীগের একটি মিছিলে যাওয়ার জন্য তারা এভাবে চুল কাটান। রনি মিছিলের একদিন পর পরিবার ও সন্তানের কথা ভেবে মাথা মুণ্ডন করে ফেলেন। তবে নির্বাচন পর্যন্ত এ কাটিংয়েই চুল রাখবেন বলে জানিয়েছেন উমর আলী।
উমর আলী বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগকে ভালোবাসি। দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে আমার কোনো চাওয়া পাওয়া নেই যে শেখ হাসিনা আমাকে কিছু দেবেন, আর আমি সেটা নিয়ে বেঁচে থাকবো। আমি আওয়ামী লীগকে ভালোবেসে মাথার চুল কেটে নৌকা বানিয়েছি।’
এ বিষয়ে রনি বলেন, ‘আমরা দুজনই শেখ হাসিনাকে ভালোবাসি। খালি হাতে আওয়ামী লীগের প্রোগ্রামে যাবো মানায় না। শ্বশুরবাড়ি গেলেও তো মিষ্টি নিয়ে যেতে হয়। তখন আমরা দুজন যুক্তি করলাম আমাদের তো কিছু দেওয়ার নেই। আমরা মাথার চুল কেটে নৌকা বানিয়ে মিছিলে যাবো। মিন্টু ভাইয়ের (জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু) মিছিলের মাধ্যমে আমাদের নেত্রীকে নৌকা উপহার দেবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘মিছিলের পরের দিনই মাথা মুণ্ডন করে ফেলি। আমার সন্তান, আমার স্ত্রী আমাকে দেখে ভয় পাচ্ছিল। বিশেষ করে আমার সন্তান ছোট খুব ভয় পাচ্ছিল। তার কথা চিন্তা করেই আমি চুল কেটে ফেলেছি।’
এ বিষয়ে হলিধানি ইউনিয়নের ৪ নম্বর কোলা গ্রামের ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রসিদ বাউল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভালোবেসে, দলকে ভালোবেসে তারা নৌকা স্টাইলে চুলের কাটিং করিয়েছেন। এটা ভালো লাগার একটি বিষয়।’
স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম বলেন, তারা দুজনই গরিব মানুষ। প্রধানমন্ত্রী ও দলকে ভালোবেসে মাথায় নৌকা বানানোর বিষয়টি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছ।
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এসআর/এমএস