দীর্ঘদিন থেকে লোকবল ও পাহারাদার সংকট, স্ট্রংরুমের অভাবসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত ঈশ্বরদীর প্রধান পোস্ট অফিস। ফলে স্বাভাবিক কাজকর্ম পরিচালনা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। প্রতিদিন প্রায় গড়ে দেড় কোটি টাকা লেনদেন করে সরকারকে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব দিলেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজর নেই এই পোস্ট অফিসের প্রতি। ঈশ্বরদী প্রধান পোস্ট অফিসের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্রে এসব জানা গেছে।সূত্র মতে, দেশের অনেক জেলার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ঈশ্বরদীর প্রধান পোস্ট অফিসটি শহরের প্রাণকেন্দ্র পাবনা রোডে অবস্থিত। এখানে অসংখ্য গ্রাহক রয়েছে যারা এফডিআর, পারিবারিক সঞ্চয়পত্র ও ফিক্সড ডিপোজিটসহ নানা ধরনের অ্যাকাউন্টে প্রতিদিন লেনদেন করে থাকেন। কোন কোন ক্ষেত্রে যে কোন তফসিল ব্যাংকের চেয়েও বেশি লেনদেন হয়ে থাকে। অথচ দীর্ঘদিন থেকে এখানে লোকবলের সংকট রয়েছে। এই অফিসে একজন পরিদর্শক ও একজন পোস্ট মাস্টার কর্মরত রয়েছেন। একইভাবে ৮ জন অপারেটর পদের অনুকূলে কর্মরত ২ জন, ৮ পোস্টম্যান পদের অনুকূলে ৬ জন কর্মরত আছেন। লক্করঝক্কর মার্কা একটি স্ট্রং রুম থাকলেও মজবুত করা হয়নি। মূল্যবান কাগজ ও দলিলপত্র রাখার সুব্যবস্থাও নেই এখানে। কোটি কোটি টাকা লেনদেন করা হলেও কোন পাহারাদার নেই। এসব কারণে প্রতিদিন গ্রাহক, পরিদর্শক, কর্মরত মাস্টারসহ অন্যান্য স্টাফদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। প্রতিদিন গ্রাহক ও প্রত্যেক স্টাফকে আতংকের মধ্যে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।ঈশ্বরদী পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার জনবল সংকটের কথা স্বীকার করেছেন। ডাকঘর পরিদর্শক আবু বক্কার বলেছেন, এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে বিষয়টি সম্পর্কে ভাল বলতে পারবেন পাবনার ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল। উল্লেখ্য, ঈশ্বরদীর প্রধান পোস্ট অফিসে সঞ্চয়পত্রসহ মোট গ্রাহকের সংখ্যা ৮০ হাজারের বেশি।এসএস/পিআর