সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী সাঈদ মোহাম্মদ সাদাত চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ গ্রামের মৃত সামসুল আলম চৌধুরী ছেলে। শুক্রবার রাতে তিনি বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এএসএম মাকসুদ খান, তার ম্যানেজার মহসিন হোসেন, অফিসের কর্মচারী আকাশ, রাজিব ও মাকসুদের চাচাতো ভাই টফি।
আরও পড়ুন: ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ, ১৩ দিন পর উদ্ধার
এদের মধ্যে মাকসুদ খানের ম্যানেজার মহসিন হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর রাতেই মূল অভিযুক্ত পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এএসএম মাকসুদ খানকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। শনিবার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক আহ্বায়ক ও সাতক্ষীরা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান বলেন, মাকসুদ খান ও আমার অফিস একই ভবনে। হঠাৎ জানতে পারলাম তার অফিসে চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ীকে ১৫ দিন ধরে আটকে রেখে নির্যাতন করেছে। এটি খুব দুঃখজনক ঘটনা। তাদের কারণে ব্যবসায়ীরা এ বন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিদুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রামের একজন ব্যবসায়ীকে ভোমরায় আরেক ব্যবসায়ী আটকে রেখেছেন এমন অভিযোগ পাই। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করা হয়। পরে রাতে ব্যবসায়ী সাঈদ মোহাম্মদ সাদাত বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেন। মামলার আসামি মাকসুদ খান ও তার ম্যানেজার মহসিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আহসানুর রহমান রাজীব/জেএস/এমএস