রাজশাহীতে অপহরণের ১০ দিন পর বন্ধুর বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মাহফুজুর হোসেন ওরফে সজল (৩৮) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোহাম্মদ আরিফুল হক চৌধুরী ওরফে রিপনকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার (১১ অক্টোবর) রাজশাহী নগরীর শাহমখদুম থানার সন্তোষপুর মহল্লার এক বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মাহফুজুর হোসেন ওরফে সজল রাজশাহীর কাশিয়াডাঙ্গা উপজেলার হড়গ্রাম মুন্সিপাড়া এলাকার মোহাম্মদ মর্তুজা হোসেনের ছেলে। গ্রেফতার মোহাম্মদ আরিফুল হক চৌধুরী ওরফে রিপন নাটোরের লালপুর উপজেলার আবদুলপুর গ্রামের মৃত হামিদুল হকের ছেলে। তিনি রাজশাহী নগরীর শাহমখদুম থানার সন্তোষপুর মহল্লার এক বাসায় ভাড়া থাকতেন।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিজয় বসাক বলেন, সজল ও রিপন দুই বন্ধু। তাদের মধ্যে ব্যবসায়ীক সম্পর্ক ছিল। সজলের বাবা মর্তুজা হোসেন বুধবার নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, ১ অক্টোবর সুজনকে অপহরণ করা হয়েছে। সজলকে ফিরিয়ে দিতে অপহরণকারী প্রথমে এক কোটি এবং পরে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ার শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি লালমনিরহাটে গ্রেফতার
জিডির পর নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা ও গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় জানতে পারে, মুক্তিপণ দাবি করা ব্যক্তির অবস্থান রিপনের ভাড়া বাসায়। এরপর রিপনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে রিপন জানান, অপহরণের পর ২ অক্টোবর রিপনকে হত্যা করে মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পরে বুধবার রাতে কাশিয়াডাঙ্গা ও শাহমখদুম থানা এবং ডিবি পুলিশ রিপনকে নিয়ে তার ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে সেপটিক ট্যাংক থেকে সজলের মরদেহ উদ্ধার করে।
তিনি আরও বলেন, সজলের মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামি রিপনকে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। এর আগেও রিপনের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ রয়েছে। এ সংক্রান্ত মামলাও রয়েছে।
সাখাওয়াত হোসেন/জেএস/এএসএম