দেশজুড়ে

বিজয় এক্সপ্রেস ময়মনসিংহ থেকেই ছাড়ার দাবি, রেললাইনে শুয়ে আন্দোলন

চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে যাওয়ার দাবিতে রেললাইনে শুয়ে পড়ে আন্দোলন করেছেন স্থানীয়রা। এসময় গণসই ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে বিক্ষুব্ধ ময়মনসিংহবাসী ব্যানারে ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন চত্বর ও প্ল্যাটফর্মে এসব কর্মসূচি পালন করেন ময়মনসিংহের বিভিন্ন পেশার মানুষ।

এসময় আন্দোলনকারীরা রেললাইনের ওপর শুয়ে ও প্ল্যাটফর্মের সামনে দাঁড়িয়ে স্লোগান দেন ‘ময়মনসিংহের বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া চলবে না’, ‘ময়মনসিংহের বিজয় ময়মনসিংহেই থাকবে’।

আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ময়মনসিংহবাসীর দাবির ফলে ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন ময়মনসিংহ থেকে চট্টগ্রাম চলতে শুরু করে। এটি ময়মনসিংহ থেকে চলা একমাত্র আন্তঃনগর ট্রেন। কিন্তু সম্প্রতি রেল বিভাগ বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি জামালপুর থেকে ময়মনসিংহ হয়ে চট্টগ্রামে চলাচল করার ঘোষণা দেয়।

তারা বলছেন, জামালপুর থেকে চলতে শুরু করলে ময়মনসিংহের আসন বরাদ্দ কমে যাওয়াসহ নানা রকম সমস্যার সৃষ্টি হবে। কাজেই এ ট্রেন কোনোভাবেই ময়মনসিংহের পরিবর্তে জামালাপুর থেকে চলার সিদ্ধান্ত ময়মনসিংহের মানুষ মেনে নেবে না।

আন্দোলনকারীদের ভাষ্য, রেলওয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার বাড়ি জামালপুরে। তিনিই নিজের এলাকার মানুষদের খুশি করার উদ্দেশ্যে এমন হঠকারী সিদ্ধান্ত নিতে রেলওয়েকে প্রভাবিত করেছেন।

কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ জেলা নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন কালাম, সুজনের মহানগর সম্পাদক আলী ইউসুফসহ অন্তত ১৫ জন নাগরিক।

ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট নাজমুল হাসান খান বলেন, বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি ময়মনসিংহের পরিবর্তে জামালপুর থেকে যাত্রা শুরুর বিষয়ে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনো নির্দেশনা এখনো পাইনি। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।

ময়মনসিংহের বিভিন্ন পেশার মানুষের দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে ২৯ অক্টোবর জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা এবং ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য রওশন এরশাদ বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন ময়মনসিংহ থেকেই চলার অনুরোধ জানিয়ে রেলমন্ত্রীকে চিঠি দেন।

একই দাবিতে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটুও চিঠি দেন রেলমন্ত্রীকে। এরআগে গত ২৫ অক্টোবর একই দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন ময়মনসিংহের মানুষ।

মঞ্জুরুল ইসলাম/এসআর/জেআইএম