শরীয়তপুরের নড়িয়াতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১১টি দোকান পুড়ে গেছে। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ঘড়িসার ইউনিয়নের বাংলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে বাজারের পেট্রল ব্যবসায়ী মোকলেছ মোল্লার গোডাউন থেকে নছিমন গাড়িতে পেট্রল তুলছিলেন শ্রমিকরা। এসময় তাদের অসতর্কতায় দোকানে আগুন লেগে যায়। সেই আগুন মুহূর্তের মধ্যে বাজারের অন্য দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। পরে নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আরও পড়ুন: দারুস সালামে ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে আগুন
তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই বাজারের ব্যবসায়ী সঞ্জয় পাল, অরুণ পালের মিষ্টির দোকান, আনোয়ার শিকদার, নুরু প্রধানীয়ার মুদি দোকান, মসিউর রহমান শামিম, বোরহান মাঝি, আব্দুল গণি হাওলাদারের ঔষধের দোকান, বাচ্চু মাল, আবু কালাম মোল্লার সবজির দোকান, জামাল সরদারের দর্জির দোকানসহ ছোট-বড় মিলিয়ে ১১টি দোকানের মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সঞ্জয় পাল বলেন, ১০ লাখ টাকার পুঁজি নিয়ে মিষ্টির দোকানটি পরিচালনা করছিলাম। আগুনে আমার সব কিছু শেষ হয়ে গেলো। এখন সরকার যদি সাহায্য না করে পরিবার নিয়ে পথে বসে যাবো।
আরেক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী গণি হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে বাজারে এসে দেখি আমার দোকানের ওষুধসহ সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমার মতো ১১ জন ব্যবসায়ীর অনেক ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে বাসে আগুন
এ বিষয়ে নড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. রওশন বলেন, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পারি নসিমনে পেট্রল তোলার সময় আগুনের সূত্রপাত। তবে কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এই মূহুর্তে বলা কঠিন।
শনিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য একেএম এনামুল হক শামীম। এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সরকারিভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বিধান মজুমদার অনি/জেএস/এএসএম