রাজধানীর উত্তরার দক্ষিণখানে কসাই খায়রুল হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরেক কসাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার ওই ব্যক্তির নাম শহিদুল ইসলাম। পুলিশ বলছে, পাশাপাশি দুটি মাংসের দোকানে কাজ করতেন তারা।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে ঘটনার বিস্তারিত তথ্য জানান উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোর্শেদ আলম।
তিনি বলেন, গত রোববার রাতে নিজ দোকান থেকে কসাই খাইরুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া যায়। এ ঘটনায় সন্দেহের জেরে কয়েকজনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে একজন পাশের দোকানের কসাই শহিদুলকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন শহিদুল।
এ কর্মকর্তা আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে শহিদুল জানান, আদম আলী মার্কেটে জজ মিয়ার মাংসের দোকানে কসাইয়ের কাজ করেন। প্রতিদিন মাংস বিক্রি শেষে তার নিজ বাড়ি বেরাইদে চলে যান। কিন্তু ঘটনার দিন রাত বেশি হওয়ায় খায়রুল তাকে তার দোকান ‘আফসাল গোস্ত বিতানে’ ঘুমাতে বলেন। তার অনুরোধে খাইরুলের সঙ্গে ঘুমাতে যায় শহিদুল। এরপর রাত সাড়ে ১১টায় খায়রুল বলাৎকারের চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় শহিদুল রেগে গিয়ে খায়রুলের দোকানের বাক্সে থাকা মাংস কাটার চাপাতি দিয়ে মুখের ওপর কোপ মারেন এবং খায়রুল পড়ে যান। এরপর শহিদুল মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য আবার খায়রুলের ডান পাশের ঘাড়ে উপর্যুপরি তিনটি কোপ মারেন। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর খায়রুলকে কম্বল দিয়ে ঢেকে সেখান থেকে পালিয়ে যান।
তবে খুন হওয়া খায়রুলের বিষয়ে এ ধরনের অভিযোগ আরও ছিল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ডিসি মোর্শেদ আলম বলেন, মূলত সেদিন গরু দিতে আসা কয়েকজনের কাছে আমরা শুনেছিলাম প্রতিদিন যেখানে খায়রুল একা ঘুমান। সেখানে ঘটনার দিন তারা দুজনকে দেখেছিলেন। তাদের থেকে শুনেই আমরা ধারণা করেছিলাম খায়রুলের সঙ্গে ঘুমানো অপর ব্যক্তিই হতে পারে এ ঘটনার মূল আসামি। তবে সেটা যে শহিদুল হবে তা তখনও পরিষ্কার ছিল না। এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না সেটা শহিদুলকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
গত সোমবার সন্ধ্যায় দক্ষিণখানে ছিনতাইকারীদের হাতে সিভিল অ্যাভিয়েশনের গাড়ি চালকের মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে ডিসি মোর্শেদ বলেন, ঘটনাস্থল আমাদের আওতায় নয়। এটি রেলওয়ে পুলিশের আওতায়, তারা দেখবে।
টিটি/এসএনআর/এএসএম