দেশজুড়ে

মাগুরায় ১২টি ইউপির মধ্যে ১১টিতে জয়ী আ. লীগ

মাগুরায় দু’একটি তুচ্ছ ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বৃহস্পতিবার (৩১মার্চ) ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে ১১টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছে। অপর একটি ইউনিয়নে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিতরা হলেন- রাঘবদাইড় ইউনিয়নে আশরাফুল ইসলাম (বাবুল ফকির), মঘী ইউনিয়নে আ. লীগের হাই সরদার, হাজিপুর ইউনিয়নে মোজাহারুল ইসলাম, আঠারখাদা ইউনিয়নে সঞ্জিবন বিশ্বাস, কছুন্দী ইউনিয়নে আবুল কাশেম মোল্যা, চাউলিয়া ইউনিয়নে হাফিজার রহমান মোল্যা, শত্রুজিত পুর ইউনিয়নে সঞ্জিত কুমার বিশ্বাস, জগদল ইউনিয়নে সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, বেরইল পলিতা ইউনিয়নে খন্দকার মহব্বত আলী, হাজরাপুর ইউনিয়নে কবির হোসেন, বগীয়া ইউনিয়নে মীর রওনক হোসেন এবং বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী নাজমুল হাসান রাজীব গোপালগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।এদের মধ্যে সদর উপজেলার রাঘবদাইড় ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম (বাবুল ফকির নৌকা প্রতিক নিয়ে ৯ হাজার ৬০২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী বিএনপি প্রার্থী শরফুদ্দিন আহমেদ রাজা ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৮৪ ভোট। মঘী ইউনিয়নে আ. লীগের প্রার্থী আব্দুল হাই সরদার নৌকা প্রতীক নিয়ে ৯ হাজার ৮৯৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাওলানা ইমদাদুল হক পাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৪৬ ভোট। আঠারখাদা ইউনিয়নে আ. লীগের প্রার্থী সঞ্জীবন নৌকা প্রতীক নিয়ে ৫ হাজার ৪০৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী স্বতন্ত্র প্রার্থী অমরেশ বিশ্বাস চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ২৪৬ ভোট।ধনপাড়া , মঘী, দক্ষিণ মির্জাপুর, বেরইলসহ বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে ভোটাররা শান্তিপূর্ণভাবে  সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট দিয়েছেন। তবে হাজীপুর, রাঘবদাইড়, মঘী ইউনিয়নের ১০/১২টি ভোটকেন্দ্রে ধানের শীষ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে কোন এজেন্ট দেখা যায়নি। পুলিশ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে। তবে মঘী ইউনিয়নের ভাবনহাটি হাইস্কুল ও পাশের প্রাইমারী স্কুল ভোট কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৯টায় নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে ভোটারদের প্রকাশ্যে বেলট পেপারে সিল মারতে বাধ্য করা হয়। সাংবাদিকরা বিষয়টি প্রিজাইডিং অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষন করলে তিনি তাৎক্ষনাত তা বন্ধ করে দেন। এই কেন্দ্রসহ থানাবাড়ি ও পাশের কেচুয়াডুবির গ্রামের কেন্দ্রে ধানের শীষ প্রতীকের কোন এজেন্ট ছিল না।এদিকে আঠারোখাদা ইউনিয়ন পরিষদ ভোট কেন্দ্রের অদূরে বিএনপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাড়ির সামনে প্রার্থী মুক্তার হোসেন-এর (ধানের শীষ) উপর নৌকার সমর্থক হারুনের নেতৃত্বে হামলা হয়। এ হামলার ঘটনায় প্রার্থী মুক্তার হোসেনসহ তার সমর্থক কবির, সাদ্দাম, ও বুলবুল আহত হয়। এছাড়া কোথাও রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কোন সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।এআরএস/আরআইপি