দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) ফরিদপুরে নির্বাচনী জনসভা করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পাশাপাশি সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের শহর শাখার মাঠে নৌকার আদলে প্রস্তুত করা হয়েছে মঞ্চ।
সরেজমিন দেখা যায়, শহরে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রতিটি মোড়ে মোড়ে অবস্থান করছেন পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। অন্যদিকে নৌকার আদলে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ। অন্যান্য কাজও প্রায় শেষের দিকে। মাঠটি চারদিকে সীমানা প্রাচীরে ঘেরা থাকায় দুটি গেট দিয়ে জনসাধারণের প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রঙিন সাজে সাজানো হচ্ছে পুরো শহরকে। নতুন করে রং করা হচ্ছে সড়ক বিভাজকগুলোতে। শহর সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুরে পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে মধ্যাহ্নভোজ করবেন। বিকেল ৩টায় সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে জনসভায় যোগ দেবেন।
এদিকে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ফরিদপুরে প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে উচ্ছ্বসিত দলীয় নেতাকর্মীরা। জনসভাকে সফল করতে একসঙ্গে কাজ করছেন জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। নেতাকর্মীরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমনে ফরিদপুর আওয়ামী লীগের মধ্যে যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে তা নিরসন হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইসতিয়াক আরিফ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অভিমানী হয় কিন্তু বেইমানি হয় না। ক্ষোভ বা অভিমান থাকতেই পারে। তবে জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন ফরিদপুরে আসবেন আমি বিশ্বাস করি, নেতাকর্মীরা সব ভেদাভেদ ভুলে জনসভায় অংশ নেবেন।’
এ বিষয়ে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় থাকবে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, এসএসএফ, ডিজিএফআই ও আনসার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
এন কে বি নয়ন/এসআর/এএসএম