দেশজুড়ে

সকাল থেকে ক্লাস করে দুপুরে এলো স্কুল বন্ধের ঘোষণা

সিরাজগঞ্জে প্রচণ্ড শীতে প্রাথমিকের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হলেও সোমবার (২২ জানুয়ারি) জেলার ১ হাজার ৬৭১টি বিদ্যালয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত পাঠদান হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ খোদ শিক্ষকরাও।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, আমরা শৈত্যপ্রবাহের কারণে ওইদিন (সোমবার) পাঠদান বন্ধ ঘোষণার নোটিশ পেয়েছি দুপুর ২টায়। এ ছুটি ঘোষণা কারোরই কাজে আসলো না। অথচ ওই বিজ্ঞপ্তিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষর রয়েছে রোববারের (২১ জানুয়ারি)।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জারি করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র বাঘাবাড়ীর পূর্বাভাস অনুযায়ী সিরাজগঞ্জ জেলার তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় বিভাগীয় উপ-পরিচালকের পরামর্শক্রমে আগামী ২২ জানুয়ারি জেলার সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম ১ (এক) দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসারগণকে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের অনুরোধ করা হলো।’

এমন ঘোষণা কাগজে থাকলেও বাস্তবে জেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম চলমান ছিল। এদিন বিদ্যালয় খোলা রাখায় তীব্র শীতের মধ্যেও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসে। বিশেষ করে প্রাথমিক স্তরের শিশু শিক্ষার্থীদের অবর্ণনীয় কষ্ট পোহাতে হয়।

এ ঘটনায় অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রোববার সন্ধ্যা থেকেই সিরাজগঞ্জে হিমশীতল আবহাওয়ায় ঘর থেকে বের হওয়া দায় হয়ে পড়ে। কিন্তু আগে থেকে বিদ্যালয় বন্ধের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সোমবার দুপুরের দিকে ফেসবুকে দেখি পাঠদান বন্ধ। অথচ ছেলে মেয়ে তখন বিদ্যালয়ে। এ ছুটিতে শিক্ষার্থীদের শীতের কষ্ট কিছুই লাঘব হয়নি।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ধীতপুর আলাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক অভিভাবক জাগো নিউজকে বলেন, একদিন আগেই আশপাশের জেলায় পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা থেকেই শীতের তীব্রতায় ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছিল না। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণেই বিদ্যালয় বন্ধের উদ্যোগ নিতে বিলম্ব হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম আব্দুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, পাঠদান বন্ধের আদেশটি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মেইলে সকাল ১০টার দিকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে বিদ্যালয়ের প্রভাতি শাখার পাঠদান শুরু হলেও বাকিদের পাঠদান বন্ধ ছিল।

এদিকে আজ মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সিরাজগঞ্জে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮.৪ ডিগ্রি। তীব্র ঠান্ডার কারণে আজও জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। একই কারণে জেলার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২২ ও ২৩ জানুয়ারি পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করেছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (অতি:দা) আফছার আলী।

এম এ মালেক/এফএ/জিকেএস