ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার তৈলটুপি শ্মশান ঘাট এলাকায় কুমার নদ থেকে সাইফুল ইসলাম ওরফে ছয়ফল (৪২) নামে এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে।
এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কুষ্টিয়া সদর থানার আস্থানগর গ্রামের মজনু হোসেন এবং মনিরুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।
হরিনাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান জানান, গত ১৫ নভেম্বর সাইফুল ইসলাম ওরফে ছয়ফলকে সন্ধ্যার পর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ভুক্তভোগীর পরিবার ১ ডিসেম্বর থানায় সাধারণ ডায়রি করে। সেই ডায়রির প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এরপর ছয়ফলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মনিরুল ও মজনুকে শনাক্ত করা হয়। পরে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা স্বীকার করেন যে সাইফুল ইসলামকে ১৫ নভেম্বর অপহরণ করে শ্বাসরোধ করে মেরে তৈলটুপি শ্মশান ঘাটের পাশে কুমার নদের ধারে কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে রাখেন।
তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঘটনাস্থলে গিয়ে কচুরিপানা সরিয়ে সাইফুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মনিরুল ও মজনুকে আটক করা হয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে এদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হলো আর হত্যাকাণ্ড ঘটলো তা উদ্ধারে কাজ করছে পুলিশ। মরদেহ ময়নাতদন্তের বৃহস্পতিবার সকালে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে বলে জানায় পুলিশ।
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এফএ/জিকেএস