দেশজুড়ে

ইজতেমা এলাকা হবে হকার মুক্ত, দু’পক্ষের সমঝোতা হয়েছে

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমার ব্যাপারে দুই পক্ষের সমঝোতা হয়েছে। প্রথম পক্ষ ইজতেমা শেষে নির্ধারিত সময়ে কোনো প্রকার ভাংচুর ছাড়া প্রশাসনের কাছে মাঠ বুঝিয়ে দেবে। আবার একইভাবে দ্বিতীয় পক্ষও ইজতেমা শেষে নির্ধারিত সময়ে প্রশাসনের কাছে মাঠ ও সরঞ্জামাদি শান্তিপূর্ণভাবে হস্তান্তর করবে। দু’পক্ষের মধ্যে সুন্দরভাবে ইজতেমা সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সমঝোতা হয়েছে।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকালে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে আইনশৃংখলার চূড়ান্ত প্রস্তুতি ও ময়দান পরিদর্শনের সময় তিনি এ কথা বলেন।

কমিশনার বলেন, এবার একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইজতেমাস্থল ও আশপাশে কোথাও হকার বসতে দেওয়া হবে না। কেউ সহযোগিতা করলে হকারসহ আশ্রয়দাতাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

এবারের ইজতেমায় জিএমপির ছয় হাজার সদস্য ছাড়াও র‌্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দারা দায়িত্ব পালন করবেন।

ইজতেমার প্রস্তুতির পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ, মো. ইব্রাহিম খান, ইজতেমার দুইপক্ষের মুরুব্বী ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

আগামি ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে এবারের বিশ্বইজতেমার প্রথম পর্ব। এ পর্ব চলবে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এর চারদিন পর ৯ ফেব্রুয়ারি ২য় পর্ব শুরু হয়ে চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

মো. আমিনুল ইসলাম/এএইচ/জেআইএম