শেষ সময়ে জমে উঠেছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৮তম আসর। ঢাকার পূর্বাচল উপশহরে তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত এ মেলার প্রধান ফটক করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু টানেলের আদলে। সবসময় মেলায় খাবারের মান ও দাম নিয়ে নানা অভিযোগ থাকলেও ভোজনরসিকদের চাহিদা চিন্তা করে এবারও খাবারের নানা সমারোহ নিয়ে হাজির হয়েছে জনপ্রিয় মিষ্টির ব্র্যান্ড ‘মিঠাই’। সুলভমূল্যে ভালো মানের খাবার পাওয়ায় ভোজনরসিকদের কাছে মিঠাইয়ের চাহিদা তুঙ্গে।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার মিঠাইয়ের স্টলে এমনই চিত্র দেখা গেছে।
স্টল ও প্যাভিলিয়ন বিভিন্ন আইটেমের খাদ্যপণ্য নিয়ে হাজির হয়েছে মেলায়। সুলভমূল্যে খাবার বিক্রির পাশাপাশি মেলা উপলক্ষে খাবারে বিভিন্ন ছাড়ও দেওয়া হচ্ছে। এসবের মধ্যে রয়েছে দুপুরের খাবার, শিঙাড়া, সমুচা, ফ্রাইড চিকেন, তন্দুরি চিকেন, বার্গার, ফ্রাইড রাইসসহ হরেক রকমের খাবার।
মিঠাইয়ের স্টলে বসে ২৫০ টাকার মোরগ পোলাও বিশেষ অফারে মাত্র ১৮০ টাকায় উপভোগ করতে পারছেন দর্শনার্থীরা। এছাড়া ১৮০ টাকার চিকেন বোল মাত্র ১৩০ টাকা ও ১০০ টাকার ডিম খিচুরি মিলছে মাত্র ৮০ টাকায়।
ঢাকা থেকে মেলায় আসা তানিশা রহমান বলেন, দীর্ঘদিন পর মেলায় আসা হয়েছে। তাই অনেক কেনাকাটা করলাম। কেনাকাটা শেষে মিঠাইয়ে চলে এলাম। মিঠাইয়ের খাবার ভালো লাগে।
কামাল হোসেন নামে আরেকজন বলেন, মিঠাইয়ের খাবার তুলনামূলক স্বাস্থ্যসম্মত। তাই এখান থেকে ডিম-খিচুড়ি খেয়ে নিলাম।
মিঠাইয়ের ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন, গতবারের মতো এবারও আমরা খাবারপ্রেমীদের ভালো সাড়া পাচ্ছি। লাভ নয়, আমরা সবসময় চিন্তা করি কীভাবে সুলভমূল্যে ভালো মানের খাবার সরবরাহ করা যায়। সেই লক্ষ্যে এবারও খাবারের বিশাল সমারোহ নিয়ে হাজির হয়েছি। এছাড়া মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন খাবারে বিশেষ ছাড়ও দিচ্ছি।
এবারের বাণিজ্যমেলায় দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, ইরান, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশ অংশ দিয়েছে। মেলায় এসব দেশের বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিকস অ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহসামগ্রী, চামড়া/আর্টিফিশিয়াল চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাতপণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারি ওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, হস্ত-শিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর ইত্যাদি পণ্যমেলায় প্রদর্শিত হবে। পণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি দেশীয় পণ্য রপ্তানির বড় বাজার খোঁজার লক্ষ্য রয়েছে।
রাশেদুল ইসলাম রাজু/এমএএইচ/জিকেএস