লিওঁর গ্রুপামা স্টেডিয়ামে কিক অফের বাঁশি বাজলো মাত্র। দর্শকরা আসন নিয়ে বসছিলেন। চোখের পলকে দেখা গেলো বল ঠাঁই নিয়েছে ফ্রান্সের জালে। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই গোল হজম করে বসলো কিলিয়ান এমবাপের দল, সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স।
২০ বছর বয়সী বায়ার লেভারকুসেন স্ট্রাইকার ফ্লোরিয়ান উইর্টজ মাত্র ৭ সেকেন্ডের মাথায় বল জড়িয়েছেন স্বাগতিক ফ্রান্সের জালে। উজ্জীবিত জার্মানিকে এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। আরও একটি গোল আসে কাই হাভার্টজের কাছ থেকে। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে স্বাগতিক ফ্রান্সকে হারিয়ে ঘরে ফিরলো জার্মানরা।
ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের আগে জার্মানির এই জয় এবং আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার জয়টা খুব প্রয়োজন ছিল। তাও ফ্রান্সের মত শক্তিশালী দলের বিপক্ষে। অবসর ঘোষণার তিন বছর পর ফিরে এসেই জার্মানির জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখলেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা টনি ক্রুস। তার বাড়িয়ে দেয়া লম্বা পাসটিই সাত সেকেন্ডের মধ্যে ফ্রান্সের জালে পাঠিয়ে দেন উইর্টজ।
জার্মানির ফুটবল ইতিহাসে উইর্টজের এই গোলটাই সবচেয়ে দ্রুততম। এর আগে লুকাস পোডলস্কিও সাত সেকেন্ডে গোল করেছিলেন, ২০১৩ সালে ইকুয়েডরের বিপক্ষে। তবে ভগ্নাংশের হিসেবে পিছিয়ে রইলো পোডলস্কির গোল। উইর্টজের গোল চলে এসেছে এক নম্বরে।
মাঠে নামার আগেই আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে দ্রুততম গোলের রেকর্ড দেখেন ফ্লোরিয়ান উইর্টজ। স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে মাত্র ৬ সেকেন্ডে গোল করেন ক্রিস্টোফ বাউমগার্টনার। সে ঘটনায় উদ্বুদ্ধ হয়েই হয়তো নিজে ৭ সেকেন্ডে গোল করে বসেন তিনি।
গত বছর অক্টোবরে সর্বশেষ কোনো ম্যাচ জিতেছিলো জার্মানি। এরপর টানা ৩ ম্যাচে হার। যে কারণে কোচ হুলিয়ান নাগেলসম্যানের চাকরিও ছিল হুমকির মুখে। ইউরোর আগে স্বাগতিক জার্মানির আত্মবিশ্বাস ফেরানো জয়ের প্রয়োজন ছিল। ফ্রান্সকে পেয়ে সেই আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনলো জার্মানরা।
শুরুতে গোল হজম করেও ফ্রান্স চেষ্টা করেছিলে ম্যাচে ফেরার। কিলিয়ান এমবাপের দারুণ কিছু সুযোগ তৈরি করেছিলেন। কিন্তু তার শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন মার্ক অ্যান্ডার টের-স্টেগান। কোচ হুলিয়ান নাগেলসম্যান বলেন, ‘আমরা দারুণ একটি সূচনা করেছিলাম। কিক অফের সময় আমরা যে পরিকল্পনা নিয়েছিলাম, সেটাই কাজে লাগিয়েছি।’
আইএইচএস/