জাতীয়

জৌলুস হারাচ্ছে মিরপুরের বেনারসিপল্লী

মিরপুরের বেনারসি শিল্পপল্লীতে তৈরি শাড়ি ভারতের বেনারসি শাড়ির সঙ্গে দামের প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে। এ কারণে কয়েক বছর ধরে বাজার হারাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী এ শাড়ি। এখানকার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা পান না। এ কারণে শাড়ির নকশা, তাঁতিদের কর্মদক্ষতা ও কারখানার উন্নয়ন হচ্ছে না, যে কারণে জৌলুস হারাচ্ছে মিরপুরের বেনারসি।          বেনারসিপল্লীর অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। আর চালু থাকা কারখানার প্রায় অর্ধেক তাঁত বন্ধ। সংশ্লিষ্টরা জানান, অন্য সব পেশার চেয়ে বেতন তুলনামূলক কম হওয়ায় পেশা ছেড়েছেন অনেক কারিগর। তা ছাড়া ১০ বছর ধরে ভাসানটেকে বেনারসিপল্লী স্থানান্তর করার পরিকল্পনা চলছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় অনেকেই হতাশ।উদ্যোক্তারা জানান, ভারতের শাড়ির সঙ্গে দামের প্রতিযোগিতায় তারা পিছিয়ে পড়ছেন। ভারতে শাড়ি তৈরিতে স্থানীয় সুতা ব্যবহার করায় খরচ কম হয়। ভারতের শাড়ি কম দামে আমদানি করে বেশি লাভে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।তাঁত কারখানার মালিক ইয়াসিন আলী বলেন, বিভিন্ন দেশ থেকে প্রক্রিয়াজাত সুতা চড়া দামে আমদানি করতে হচ্ছে। এতে শাড়ি তৈরিতে খরচ বাড়ছে। তা ছাড়া নতুন কারিগর গড়ে উঠছে না। শাড়ি কম দামে বিক্রি হওয়ায় মজুরি কম এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পুরোপুরি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে পেশা পরিবর্তন করছেন শ্রমিকরা।তাঁতি মোক্তার আলী জানান, ১০টি তাঁত নিয়ে ভালোই চলছিল তার দিন। হঠাৎ আগুনে পুড়ে যাওয়ায় পুঁজি হারিয়ে নতুন করে আর শুরু করতে পারেননি। মোহাম্মদ আনিস বলেন, বর্তমানে কারিগরের অভাব, পুঁজি কম ও খরচ বাড়ায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি মিরপুর ১১ নম্বরের সুলতান ও জলিল, রশিদ খান ও মোস্তফা মহাজনের তাঁত বন্ধ হয়েছে।