জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ৬ নম্বর ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন বাদল, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) হুমায়ুন কবীর, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও চারজন ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১ মে) রাতে মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের পিপি ও দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান রতন। এর আগে রোববার (২৮ এপ্রিল) দুদকের উপপরিচালক মলয় কুমার সাহা মামলাটি আমলে নিয়ে জামালপুর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে প্রেরণ করেন।
মামলার আসামিরা হলেন ৬ নম্বর ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন বাদল, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (সম্প্রতি মদন উপজেলায় বদলিকৃত) হুমায়ুন কবীর, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ময়না মিয়া, রবিউল ইসলাম, আতিকুর রহমান দুলাল ও জাহানারা বেগম।
মামলা সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ২ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের বরাদ্দকৃত সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থান (ইজিপিপি) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পের কোনো কাজ না করে কাগজে-কলমে বাস্তবায়ন দেখানো হয়। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ১৫টি প্রকল্পের ৬৫ লাখ ৮২ হাজার ২৩ টাকা আত্মসাৎ করেন। সরকারি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের এ অভিযোগ উঠলে অনুসন্ধানে নামে দুদক। পরে জামালপুর দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. জিহাদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ২৮ এপ্রিল দুদকের উপরিচালক মলয় কুমার সাহা মামলাটি আমলে নিয়ে জামালপুর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে প্রেরণ করেন।
এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন বাদল ও পিআইও হুমায়ুন কবীরকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।
কথা হয় অভিযুক্ত সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ভাটারা ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসার (প্রকল্প তদারক কর্মকর্তা) আমি। ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ইজিপিপি প্রকল্প নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ ছিল। আমি কোনো অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত নই, ট্যাগ অফিসার হওয়ার কারণে আসামি করা রয়েছে আমাকে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের পিপি ও দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান রতন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৮/৪৭৭(ক)/১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় মামলা হয়েছে।
মো. নাসিম উদ্দিন/এমএইচআর