মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে শুধুমাত্র আনারুল ইসলামের (মোটরসাইকেল প্রতীক) ছাড়া অন্য কোনো এজেন্ট থাকতে পারবে না বলে জানিয়েছেন মেহেরপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন বুলবুল।
তিনি বলেন, ৮ মে নির্বাচনে শুধু আনারুল ভায়ের মার্কায় সিল মারা হবে। আর কোনো মার্কায় সিল মারতে দেওয়া হবে না।
বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সদর উপজেলার আমদহ ইউনিয়নের আশরাফপুর গ্রামের ৭ নম্বর স্কুলপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আয়োজনে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। ইকবাল হোসেন জনপ্রশাসন মন্ত্রীর বড় ভাই। তার দুই মিনিট ৩৯ সেকেণ্ডের একটি বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
সভায় ইকবাল হোসেন বলেন, আনারুল ভাই সহ আরও চার প্রার্থী আছে। আনারুল ভাই যদি নির্বাচনে না দাঁড়াতো তা হলে আমি আসতাম না। আনারুল ভাই যোগ্য প্রার্থী। উপজেলা চেয়ারম্যান এমন একজনকে করতে হবে যে টোটাল উপজেলা আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রাখতে পারে। যে ব্যক্তি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ জনগণের সুখ-দুঃখে পাশে থাকতে পারবে। আনারুল ভাই ছাড়া এ ধরনের কোনো লোক নেই। আর কোনো প্রার্থী নেই। তাই সেই ১৯৭০ সালের নির্বাচনে মত ওই রকম ভোট চাই। এক চেটিয়া ভোট হবে শুধু মোটরসাইকেলে। প্রত্যেক সেন্টারে মোটরসাইকেল জিতবে। শহরের লোকজন বুঝেছি যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিতে হবে। আনারুল ভাইকে আমরা প্রতিটি সেন্টারে ব্যাপক ভোটে বিজয়ী করবো। এই আশরাফপুর গ্রামে কোন এজেন্ট থাকবে না। শুধু আনারুল ভায়য়ের মার্কা মোটরসাইকেলে সিল মারতে হবে। অন্য কোনো মার্কায় সিল মারতে দেওয়া হবে না।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধরাণ সম্পাদক ইব্রাহিম শাহীন বলেন, এভাবে প্রকাশ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রীর ভাই ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি যদি বক্তব্য দেন তাহলে নির্বাচন কতটুকু গ্রহণযোগ্য হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এগুলো আচরণবিধি লঙ্ঘন। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আকারে অভিযোগ জানানো হবে।
জানতে চাইলে ইকবাল হোসেন বলেন, আমদহ এলাকায় সাবেক চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম খুব জনপ্রিয় নেতা। এ কারণে অন্য প্রার্থীর এজেন্ট পাওয়া যাবে না বলে কথা বলতে গিয়ে এমন কথা বলেছি। বিষয়টি ওইভাবে মনে করার কিছু নেই।
আসিফ ইকবাল/এএইচ/জিকেএস