দেশজুড়ে

সাত শিক্ষকের বিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থী ৬, পাস করেনি কেউ

দিনাজপুরে একটি বিদ্যালয়ের ছয় এসএসসি পরীক্ষার্থীর কেউ পাস করতে পারেনি। নতুন এমপিওভুক্ত এ প্রতিষ্ঠানটিতে সাতজন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। এক বিদ্যালয়ের সবাই ফেল করায় শিক্ষকদের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি বলছেন নবম-দশম শ্রেণীতে কোনো শিক্ষক না থাকায় এ ফল বিপর্যয় হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নে ১৯৯৮ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হয়। এরপর ২০০৩ সালে একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে। ২০২২ সালে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয়। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ১৮৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে ১৯ জন দশম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত।

২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার জন্য দশম শ্রেণিতে ১১ জন শিক্ষার্থী টেষ্ট পরীক্ষায় অংশ নেন। এদের মধ্যে ছয়জন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। প্রথমবারের মতো মানবিক বিভাগ থেকে সবাই পরীক্ষা দেয়। এদের মধ্যে চারজন ছাত্রী ও দুজন ছাত্র। ছাত্রদের মধ্যে একজন প্রতিবন্ধী। তবে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায় পরীক্ষায় কেউ পাস করতে পারেনি।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বিলকিস বানু জাগো নিউজকে জানান, এ এলাকার বেশির ভাগ মানুষ হতদরিদ্র। এ কারণে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি পরিবারের আয়ের কাজে অংশ নিতে হয়। এসব কারণে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে উপস্থিতি কম থাকায় লেখাপড়ায় ক্ষেত্রে কিছু ঘাটতি রয়ে যায়। এছাড়া নবম-দশম শ্রেণীর জন্য কোনো শিক্ষক নেই। নিন্ম মাধ্যমিকের শিক্ষক দিয়ে তাদেরকে পড়ানো হয়। তবে আগামীতে বিদ্যালয়ের পড়ালেখার বিষয়ে নজর দেওয়া হবে।

বিদ্যালয়ের সভাপতি মজিবর রহমান জানান, নানা চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। বিদ্যালয়ের অবকাঠামো ও শিক্ষক সংকট রয়েছে। তারপরও লেখাপড়ার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের চেষ্টার কমতি ছিল না। বিদ্যালয়ের যে দুর্বল দিকগুলো আছে সে বিষয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার আলী শাহ জানান, একটি বিদ্যালয়ের একজন ছাত্রও এসএসসি পাস না করার ঘটনাটি দুঃখজনক। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমদাদুল হক মিলন/এনআইবি/এএসএম