দেশজুড়ে

বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের ৪৫তম শাহাদাৎবার্ষিকী পালিত

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালীতে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফের ৪৫তম শাহাদাৎবার্ষিকী পালিত হয়েছে। রাঙামাটির নানিয়ারচর থানার বুড়িঘাটে ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল স্বাধীনতা যুদ্ধে পাক হানাদারদের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে তিনি শহীদ হন। বুধবার ভোর ৬টা থেকে মধুখালী উপজেলাধীন বীরশ্রেষ্ঠের জন্মস্থান কামারখালীর রউফ নগর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ স্মৃতি যাদুঘর ও গ্রন্থাগারে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি। ভোর ৬টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সাড়ে ৬টায় কুরআনখানী এবং বাদ যোহর শহীদের আত্মার শান্তি কামনা করে মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভাসহ দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানগুলোতে বীরশ্রেষ্ঠের বড় বোন জোহরা বেগম ও ছোট বোন হাজেরাসহ তার আত্মীয় স্বজন ও এলাকাবাসী অংশ নেন।১৯৪৩ সালের মে মাসে জেলার মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের সালামতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১১ বছর বয়য়ে বাবা মুন্সী মেহেদী মারা যায়। অভাব অনাটনের সংসারে মা মকিদুননেছার একমাত্র ছেলেকে লেখাপড়া করাতে পারেননি।তিনি তৎকালীন ইপিআর এ ১৯৬৩ সালের ৮ মে সৈনিক পদে যোগদান করেন। তার সৈনিক নম্বর ছিল ১৩১৮৭। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি তার উইংয়ে কর্মরত অবস্থায় ৮ম ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন এবং তিনি মেশিন গানার হিসেবে ৮ নম্বর সেক্টর কমান্ডারের অধীনে রাঙামাটির মহালছড়ির নৌপথে বুড়িঘাট নামক স্থানে চিংড়িখালের প্রতিরক্ষায় দায়িত্বে ছিলেন। ৭১ এর ২০ এপ্রিল পাকহানাদারদের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে লিপ্ত হন মুন্সী আব্দুর রউফ। তার মেশিনগানের গুলিতে পাকবাহিনীর ২টি লঞ্চ, একটি স্পিডবোট ডুবে পাকবাহিনীর দুই প্লাটুন সৈন্যের মৃত্যু হয়। এ সময় হঠাৎ প্রতিপক্ষের নিক্ষিপ্ত মর্টারসেলের আঘাতে তিনি শহীদ হন। ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ শহীদ হবার দীর্ঘ ২৫ বছর পর ১৯৯৬ সালে বুড়িঘাট নিবাসী জ্যোতিষ চন্দ্র চাকমা ও দয়াল কৃষ্ণ চাকমার সহায়তায় বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের কবর স্থান সনাক্ত হয়।এস.এম. তরুন/এমএএস/এবিএস