দেশজুড়ে

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে পাওয়া গেলো মরদেহ

দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে নিখোঁজের তিনদিনের মাথায় একটি বাড়ি থেকে এক স্কুলছাত্রের হাত-পা বাঁধা গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৮ মে) রাতে পুলিশ খবর পেয়ে ১নং ইউনিয়নের টেনা গ্রামের চেয়ারম্যান পাড়ার লাইছুর রহমানের বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। শনিবার সেটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

নিহত স্কুলছাত্রের নাম মো. সাকিব হাসান (১৬)। সে বোচাগঞ্জ উপজেলার ১নং নাফানগর ইউনিয়নের নাফানগর উত্তর পাড়া গ্রামের মো. মোমিনুল ইসলামের ছেলে ও দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।

পুলিশের এসআই ফারুক জানান, ১নং ইউনিয়নের টেনা গ্রামের চেয়্যারম্যান পাড়ায় স্থানীয় লোকজন গরমের কারেণ বাড়ি থেকে বাইরে বের হন। এ সময় লোকজন দুর্গন্ধ পান। কোন দিকে থেকে গন্ধ আসছে তা জানার চেষ্টা করেন তারা। পরে নিশ্চিত হন ওই গ্রামের লাইছুর রহমানের বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ আসছে। বিষয়টি তারা স্থানীয় চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ পারভেজকে জানান। পরে চেয়ারম্যান পুলিশকে খবর দেন।

পুলিশ খবর পেয়ে রাতেই লাইছুর রহমানের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। এ সময় তার ছেলে মিরাজুল ইসলাম মিরাজের (২০) ঘর থেকে পচা গন্ধ পেয়ে ঘরে প্রবেশ করে মো. সাকিব হাসানের মরদেহ দেখতে পায় পুলিশ। মরদেহের হাত কাপড় দিয়ে ও পা চিকন তার দিয়ে বাঁধা ছিল।

পুলিশ আসার খবর পেয়ে রাতেই মিরাজ পালিয়ে যান। ঠিক কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে পুলিশ তা প্রাথমিকভাবে জানাতে পারেনি। তবে মিরাজুল ইসলাম মিরাজের বাড়ির পাশে কবরের মতো খোঁড়া নতুন একটি গর্ত পাওয়া গেছে। পুলিশের ধারণা মরদেহ পুঁতে ফেলার জন্য এই গর্ত খোঁড়া হয়েছে।

নিহতের চাচা জাফরুল্লাহ জানান, শুক্রবার বিকেলে ক্রিকেট খেলার কথা বলে মো. সাকিব হাসান বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হলেও সে আর বাড়ি ফেরেনি। বিভিন্ন জায়গায় তাকে খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। মরদেহ উদ্ধারের খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে সনাক্ত করা হয়।

বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাতেই সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর মরদেহ থানায় নিয়ে আসা হয়। সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এমদাদুল হক মিলন/এফএ/জিকেএস