চুল কোমল ও ঝলমলে রাখতে কন্ডিশনার ব্যবহারের বিকল্প নেই। শুধু শ্যাম্পু করলেই চুল ভালো থাকে না। এর পাশাপাশি কন্ডিশনিংও মাস্ট! জানলে অবাক হবেন, শ্যাম্পুর চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো কন্ডিশনারের ব্যবহার। এক্ষেত্রে সচেতন থাকা জরুরি। কারণ চুলের ধরনের সঙ্গে যে কন্ডিশনার যায়, সেটাই ব্যবহার করা উচিত সবার।
তবে বাজারচলতি প্রসাধনী মানেই তাতে রাসায়নিক উপাদান মেশানো থাকে। তাতে চুলের ক্ষতিই হয়। তার চেয়ে ঘরোয়া কন্ডিশনারে ভরসা রাখতে পারেন। বিশেষ করে যাদের প্রচণ্ড চুল পড়ে, ঘরোয়া টোটকায় তাদের কাজে আসতে পারে। রইলো তেমন কয়েকটি ঘরোয়া কন্ডিশনারের খোঁজ-
মধু ও অলিভ অয়েলের মিশ্রণঅলিভ অয়েল মধু রূপচর্চার অন্যতম দুই উপাদান। চুলের যত্নেও এদের জুড়ি মেলা ভার। একটি কাপে ২ চামচ মধু আর ১ চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। শ্যাম্পু করার পর ভেজা চুলে মিশ্রণটি মেখে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ধুয়ে নিলেই চুল হবে নরম ও কোমল।
বেকিং সোডাঅবাক করা হলেও সত্যিই যে, বেকিং সোডা কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। বেকিং সোডার ব্যবহারে মাথার ত্বকের সংক্রমণ কমে। শ্যাম্পু করার পর খানিকটা বেকিং সোডা পানিতে গুলে মাথায় মেখে নিন। কিছুক্ষণ রেখে তারপর ধুয়ে নিলেই হবে।
কলা-টকদইয়ের মাস্ক কন্ডিশনার হিসেবে দারুণ কার্যকরী। চুল পড়ার সমস্যায় যারা ভুগছেন, তাদের জন্য কলা অনন্য এক ঘরোয়া দাওয়াই হতে পারে। এজন্য কলা ভালে করে ব্লেন্ড করে সামান্য অলিভ অয়েল ও টকদই মিশিয়ে চুলে মেখে নিন। কয়েক দিনের ব্যবহারেই পার্থক্য টের পাবেন।
আরও পড়ুনদীর্ঘক্ষণ জিন্সের প্যান্ট পরলে শরীরে যা ঘটেএকমাসে কত কেজি ওজন ঝরানো স্বাস্থ্যকর? কন্ডিশনার ব্যবহারের সঠিক নিয়ম কী? কন্ডিশনার নির্বাচনচুলের ধরন অনুযায়ী ভালো একটি কন্ডিশনার নির্বাচন করুন। কন্ডিশনার ব্যবহারের আগে চুলে শ্যাম্পু করে নিন। কন্ডিশনার ব্যবহারের আগে চুল থেকে কিছুটা পানি ঝড়িয়ে নিন। এরপর ব্যবহার করুন। চুলের ধরন ও দৈর্ঘ্য অনুযায়ী কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
ক্ষতিগ্রস্ত অংশে লাগনচুলের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অংশে কন্ডিশনার বেশি করে লাগান। কন্ডিশনার লাগানোর পর কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন। তবে ডিপ কন্ডিশনিং করার ক্ষেত্রে একটু বেশি সময় রাখুন।
৫ মিনিট অপেক্ষা করুনকন্ডিশনার ব্যবহার করার পরেও উপকার পান না অনেকে। তাই কন্ডিশনার লাগানোর সঙ্গে সঙ্গেই তা ধুয়ে ফেলবেন না। চুলে কন্ডিশনার লাগানোর পর ৫ মিনিট বা তার অধিক সময় অপেক্ষা করতে হবে।
চুলে শ্যাম্পু করা হয়ে গেলে চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ধীরে ধীরে কন্ডিশনার ম্যাসাজ করুন। মনে রাখবেন কন্ডিশনার মাথার স্কাল্পে যেন না লাগে।
অতিরিক্ত কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন নাঅতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়, ঠিক একইভাবে কন্ডিশনার ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে। তাই প্রতিদিন কন্ডিশনার ব্যবহার না করাই ভালো।
সূত্র: বি বিউটিফুল
জেএমএস/জেআইএম