দেশজুড়ে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংখ্যালঘুর কোনো উপাসনালয়ে হামলা হয়নি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংখ্যালঘুর কোনো উপাসনালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেনি। মাদরাসার ছাত্ররা প্রতিদিন রাত জেগে মন্দিরগুলোতে পাহারা দিচ্ছেন। তাদের সঙ্গে আমরাও রাত জেগে পাহারা দিচ্ছি।

কথাগুলো বলেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কালভৈরব মন্দিরের পুরোহিত জীবন কুমার চক্রবর্তী।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা কওমি ছাত্রসমাজ। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে তারা সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন মন্দিরের পুরোহিতরা। সেখানে একথা বলেন পুরোহিত জীবন কুমার চক্রবর্তী। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হাফেজ আল মেহরাব শাওয়াল।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর জেলার সনাতন ধর্মের অনুসারীসহ সংখ্যালঘুরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসা ও তালিমিয়ার পরামর্শে কওমি ছাত্ররা শহরের মেড্ডা কালভৈরব মন্দির, আনন্দময়ী কালিমন্দির, দক্ষিণ কালীবাড়ি মন্দিরসহ জেলার ছোট-বড় সব উপাসনালয় পাহারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ৫ আগস্টের পর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোনো ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেনি। অথচ ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ সারাদেশের বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা হয়েছে বলে একটি কুচক্রী মহল গুজব ছড়িয়ে আসছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মুফতি জাকারিয়া খান, কওমি ছাত্রসমাজের পক্ষে মাদরাসাছাত্র হাফেজ ফখরুল হাসান, হাজেফ তারেক জামিল, হাফেজ মুজাহিদুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সমীর চক্রবর্তী, কালভৈরব মন্দিরের পুরোহিত জীবন কুমার চক্রবর্তী, আনন্দময়ী কালি মন্দিরের পুরোহিত রাকেশ বনিক প্রমুখ।

আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসআর/এমএস