দেশজুড়ে

হাজীগঞ্জে আজাদ সরকার হত্যায় ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে আজাদ সরকার (৫২) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার ১৩ দিন পর ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

নিহতের ছেলে হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদল সভাপতি আহম্মেদ কবির হিমেল বাদী হয়ে বুধবার (১৪ আগস্ট) হাজীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ।

মামলার এজাহারে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ১৫ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২৫ জনকে আসামি করা হয়। এরমধ্যে এক আসামি নুরু কাজীকে (৫২) গ্রেফতার করা হয়।

হত্যার শিকার আজাদ সরকার হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৮ নম্বর ওয়ার্ড টোরাগড় গ্রামের সরকার বাড়ির মৃত আনু সরকারের ছেলে।

মামলা বিবরণ থেকে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন ৪ আগস্ট বিকেলে নিজ বাড়ির সামনে আজাদ সরকারকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পরে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন রাতেই কুমিল্লার একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- একই গ্রামের কাজী বাড়ির ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মিঠু কাজী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোবারক কাজী, আওয়ামী লীগ নেতা বশির কাজী, বাদল কাজী ও নুরু কাজী, ছাত্রলীগ নেতা তুষার কাজী, রাকিব কাজী, সিয়াম কাজী ও রুবেল কাজী।

এছাড়া পৌরসভার মকিমাবাদ গ্রামের বাসিন্দা ও পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল আলম বেপারী, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাছান রাব্বি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকুর আলম শুভ ও তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন আজাদ, আওয়ামী লীগ নেতা ও গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পাঁচৈ গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে জসিম উদ্দিন, গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের মৈশামূড়া গ্রামের আবুল বাসারের ছেলে সুমনকে আসামি করা হয়।

হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, মামলার নামীয় আসামি নুরু কাজীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

শরীফুল ইসলাম/জেডএইচ/জিকেএস