আজ প্রাণখুলে হাসার দিন। বিশ্ব হাসি দিবস। আজ মনে সব কষ্ট-দুঃখ ভুলে হাসুন। হাসলে মন ভালো থাকে, এ কথা সবারই জানা। এমনকি যারা বেশি হাসেন তাদের মনও সব সময় ভালো থাকে। মানসিক প্রশান্তি পেতে ও সুখীবোধ করতে হাসিখুশি থাকার বিকল্প নেই।
তবে কর্মব্যস্ত এই জীবনে সবাই যেন হাসতে ভুলে গেছেন! জানলে অবাক হবেন, হাসিরও আছে অনেক উপকারিতা। হাসলে যেমন মন ভালো থাকে, তেমনই শরীরওে ভালো থাকে। চিকিৎসকরাও বলেন, ‘হাসির চেয়ে ভালো ওষুধ আর হয় না’। এতে না কি হার্ট ভালো থাকে।
আরও পড়ুন
রাত জেগে ইবাদতের জন্য ব্যবহৃত কফি মুসলিম দেশে ছিল নিষিদ্ধহাসি হাজার হাজার বছর ধরে সব বয়সের মানুষের জন্য আনন্দ বয়ে এসেছে। প্রতি বছর অক্টোবরের প্রথম শুক্রবার পালিত হয় বিশ্ব হাসি দিবস। ‘হর্ষোল্লাস এবং ভালো কাজ’-এর জন্য এই দিন নিবেদিত। এ বছর আজ ৪ অক্টোবর পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব হাসি দিবস’।
১৯৬৩ সাল। ওরচেস্টার ম্যাসাচুসেটসের শিল্পী হার্ভে বল নিজের একটি হাসিখুশি মুখের ছবি দেন। কালক্রমে সেটাই সদিচ্ছা এবং আনন্দের প্রতীক হয়ে ওঠে। কিন্তু বাণিজ্য বড় দায়। হার্ভে দেখেন সেই হাসিখুশি মুখ এমন সব জায়গায় ব্যবহার হচ্ছে যার ফলে ধীরে ধীরে ছবির আসল মানেটাই বদলে যাচ্ছে। উদ্বিগ্ন হার্ভে ভাবেন, এক কাজ করা যাক। হাসির জন্য একটা দিন রাখলে কেমন হয়। সেই দিনটা হাসিখুশিতে কাটানো এবং সহৃদয় আচরণের জন্য উৎসর্গ করা হবে। সেই শুরু।
প্রথমবার বিশ্ব হাসি দিবস পালিত হয় ১৯৯৯ সালে, উরচেস্টারে। সাধারণ মানুষের মধ্যে সহৃদয়তার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়াই ছিল এর মুখ্য উদ্দেশ্য। তারপর থেকে প্রতি বছর এই দিনটা পালিত হচ্ছে। ২০০১ সালে মারা যান হার্ভে। তার স্মৃতিতে তৈরি হয় ‘হার্ভে বল ওয়ার্ল্ড স্মাইল ফাউন্ডেশন’। এই ফাউন্ডেশনই প্রতি বছর বিশ্ব হাসি দিবসের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কাজ করে চলেছে।
হাসির জন্য একটি প্রতীকীও আছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় হলুদ একটি মুখের হাসু বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় হাসি। হলুদ একটি মুখে কালো বিন্দুর দুটি চোখ, একটি চওড়া হাসি আপনার দিনটি ভালো করতে পারে। ১৯৭০ এর দশকে হাস্যোজ্জ্বল মুখ কার্টুন, কমিকস এবং রাজনৈতিক আন্দোলনের জন্য ব্যবহৃত হত। আরও পড়ুন
আপনার কাছের মানুষটি আত্মহত্যার কথা ভাবছে না তো? এখনো মনে আছে মীনা-রাজু-মিঠুকে?সূত্র: ন্যাশনাল টুডে
কেএসকে/এমএস