শিক্ষা

মেধাবীদের পুরস্কৃত করলো আইসিএবি

জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি, ও-লেভেল এবং এ-লেভেলের মেধাবী শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করলো দি ইন্সস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস বাংলাদেশ (আইসিএবি)। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আইসিএবি অটিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠাতে মেধাবীদের মাঝে ক্রেস্ট ও চেক প্রদান করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্তরা সবাই আইসিএবি’র সদস্য ও কর্মকর্তাদের সন্তান।অনুষ্ঠানে মোট ৩২ জন ছাত্র-ছাত্রীকে পুরস্কৃত করা হয়। তাদের মধ্যে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া ১১ জন, এইচএসসিতে ৬ জন, এ লেভেলে ৪ জন, ও লেভেলে ৪ জন, জেএসসিতে জিপিএ ৫ পাওয়া ৭ জনকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়েছে- জেএসসি-২০১৩ ভাল ফল করায় প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট ও ২০ হাজার, এসএসসি-২০১৪ শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট ও ২৫ হাজার, ও লেভেলের শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট ও ২৫ হাজার, এইচএসসি শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট ও ৩০ হাজার এবং এ লেভেলে শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট ও ৩০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, শিক্ষা সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান, আইসিএবি’র প্রেসিডেন্ট শওকত হোসেন, দেওয়ান নুরুল ইসলাম প্রমুখ।অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, মেধাবীদের পুরস্কৃত করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। এখানে আসার আগে আমি চিন্তা করেছিলাম তাদের উৎসাহিত করবো। কিন্তু এখানে এসে দেখি তারা আমার চেয়েও ভাল ফল করেছে। তাই তাদের কাছ থেকে আমি নিজেই উৎসাহিত হয়েছি।তিনি আরও বলেন, প্রতিনিয়ত মানুষ সকল বিষয়ে সচেতন হয়ে উঠছে। ফলে মানুষের গড় আয়ু বাড়ছে। আজ যদি টোকিও, সিউল, কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, লন্ডনে একজন শিশু জন্ম গ্রহণ করে তবে বলা যায় সে পরবর্তী একশ বছর বাঁচবে। মানুষের জীবনযাত্রা এত উন্নত হচ্ছে। তাদের বুদ্ধিমত্তাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।শিশুদের মেশিনের উপর নির্ভরশীল না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনারা আপনাদের সন্তানদের মেশিনের ওপর নির্ভরশীল করবেন না। তাদের লেখাপড়ার দিকে খেয়াল রাখবেন। পিতা-মাতা যদি তার সন্তানদের প্রতি সঠিকভাবে নজর রাখে তবে আমরা একদিন গড় আয়ু একশ বছর অর্জন করতে পারবো।মন্ত্রী আরও বলেন, গত কয়েকবছর ধরে চীন ও ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হার প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। কিন্তু আমাদের প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের বেশি। আশা করা হচ্ছে চলতি বছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭ অতিক্রম করবে। এ জন্য বিশ্বের বিভিন্ন অর্থনীতিবিদ অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশকে অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকে।নিজেকে আইসিসি’র সভাপতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি আগে অনেক খেলা করতাম। তবে আজ অনেকে খেলা পছন্দ করে না। আইসিসি’র সভাপতি হয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট উন্নয়নে আমি যেসব কাজ করেছি ভবিষ্যতে আমার রেকর্ড কেউ ভাঙতে পারবে কি-না তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।তিনি বলেন, মানব উন্নয়নে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৯৯ শতাংশ শিশু স্কুলে যায়। ভবিষ্যতে কৃষক, শ্রমিক সবাই শিক্ষিত হবে। ফলে ২০২১ সালের আগেই আমরা মধ্যম আয়ে দেশে পরিণত হব। এছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত করতে পারবো। অন্যদিকে ২০৪১ সালে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ হবে অন্যতম।এ সময় চীনের সাফল্য উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, চীন ও জাপানের উত্থান খুব বেশি দিন না। চাইলেই দেশকে উন্নত করা যায়। সবাই মিলে চেষ্টা করলে আমরা দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে পারবো। আর সে স্বপ্ন পূরণ করবে আজকের মেধাবী এসব শিক্ষার্থী। তাই পিতা-মাতাকে তাদের প্রতি যত্নশীল হওয়ার পরামর্শ দেন মন্ত্রী।