লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ধবলসুতি গাটিয়ার ভিটা সীমান্তে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে বৈদ্যুতিক পিলার (খুঁটি) স্থাপন করে তাতে সার্চলাইট বসিয়েছে বিএসএফ। পরে বিজিবির বাধায় তারা কাজ বন্ধ করে দেন। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী)দুপুরে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে কমান্ডার পর্যায়ে একটি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে ধবলসুতি ঘাটিয়ার ভিটা সীমান্ত এলাকার প্রধান পিলার ৮২৯ এর ৪ নম্বর উপ-পিলারের কাছে শূন্যরেখার মধ্যে বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপন করা হয়। এ ঘটনায় বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের জন্য আহ্বান করেছে বিজিবি।
আরও পড়ুন: দহগ্রাম সীমান্তের শূন্যরেখায় কাঁটাতারের বেড়া দিলো বিএসএফস্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে জমিতে কাজ করতে গিয়ে স্থানীয়রা বৈদ্যুতিক পিলার ও সার্চলাইট স্থাপন দেখতে পেয়ে বিজিবিকে খবর দেন। পরে ৬১ বিজিবি (তিস্তা-২) ব্যাটালিয়নের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বৈদ্যুতিক পিলার দেখতে পান। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানায় বিজিবি।
পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার বিএসএফের ৯৮ ব্যাটালিয়নের ফুলকাডাবরী ক্যাম্পের সদস্যরা দেশটির নির্মাণশ্রমিকদের নিয়ে বৈদ্যুতিক পিলার স্থাপন করেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় রবিউল ইসলাম বলেন, ‘বিএসএফ গায়ের জোরে শূন্যরেখার মধ্যে বৈদ্যুতিক পিলারে সার্চলাইট স্থাপন করছে। রাতে তারা শূন্যরেখায় এসে পাহারা জোরদার করছেন। এতে আমরা গ্রামবাসী আতঙ্কিত।’
আরও পড়ুন: দহগ্রাম সীমান্তের সেই কাঁটাতারের বেড়ায় এবার বাঁশ লাগানোর চেষ্টা কাঁটাতারের বেড়ার পর এবার বোতল ঝুলিয়ে দিলো বিএসএফএ বিষয়ে বিজিবি ধবলসুতী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মাহবুব বলেন, ‘আমাদের বাধা উপেক্ষা করে বিএসএফ বৈদ্যুতিক পিলার স্থাপন করে চলে যায়। পরে আমরা তাদের ডাকলেও তারা শোনেননি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের জন্য আহ্বান করা হয়েছে।’
তবে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ৬১ বিজিবি তিস্তা-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ মুসাহিদ মাসুমকে পাওয়া যায়নি।
রবিউল হাসান/এসআর/এএসএম