কিশোরগঞ্জে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির জন্য বিভিন্ন অফিসে আর্থিক সহযোগিতা চেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশের একটি চিঠি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
Advertisement
এই চিঠির মাধ্যমে ‘চাঁদাবাজি’ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। তবে এটাকে ‘সামাজিক কাজ’ বলছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার পক্ষটি।
চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, ‘আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা ‘মে দিবস’ উপলক্ষে একযোগে সারা জেলায় ১৫০০০ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। উক্ত উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য আপনার একান্ত সহযোগিতা কামনা করছি...উক্ত উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য আর্থিক এবং সার্বিক সহযোগিতা দানে আপনার সদয় মর্জি হয়।’
চিঠিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সদস্য সচিব ফয়সাল প্রিন্স, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ইয়াজ ইবনে জসিম, যুগ্ম সদস্য সচিব শামসুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক রাতুল নাহিদ ভূইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক আইনুল ইসলাম ঝলক ও যুগ্ম আহ্বায়ক মানস সরকারের সই থাকলেও আহ্বায়ক ইকরাম হোসেনের সই নেই।
Advertisement
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু থেকে প্রধান সমন্বয়ক দায়িত্ব পালন করা অভি চৌধুরী বলেন, ‘আগে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ যেভাবে চাঁদাবাজিতে জড়িত ছিল, বর্তমানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তথাকথিত কিছু সমন্বয়ক এই ব্যানারটাকে ব্যবহার করে বিভিন্ন অফিস-দপ্তরে চাঁদাবাজি করছেন। বিষয়টি জেনে আমি নিজেও ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছি। এই চাঁদাবাজির প্রতিবাদ জানাই।’
গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির উচ্চতর পরিষের সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, ‘চাঁদাবাজির বিষয়টি শুধু কিশোরগঞ্জে নয়, সারাদেশেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামধারী কিছু নেতা চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাণিজ্য ও তদবির বাণিজ্য শুরু করেছেন। যা স্বৈরাচার হাসিনা সরকার পতনের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকাকে নষ্ট করেছে। আমরা এই চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাণিজ্য ও তদবির বাণিজ্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন বলেন, ‘কোনো মিটিং বা আলোচনা ছাড়া এমন কার্যক্রম হাতে নেওয়ায় অনেক সদস্যই এ বিষয়ে তাদের প্রশ্নের মুখোমুখি করেছেন। বিষয়টি নিয়ে আমিও তাদের কাছে জবাব চেয়েছি। আশা করি তারা এই প্রশ্নের উত্তর দেবেন।’
তিনি আরও দাবি করেন, এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি কেন্দ্রীয় নির্দেশনা বা কর্মসূচির অংশ নয়।
Advertisement
বিষয়টি নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সদস্য সচিব ফয়সাল প্রিন্সের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘চাঁদাবাজির বিষয়টি সত্য নয়। আমরা একটি ভালো কাজ করতে চেয়েছি। এ বিষয়টি একার পক্ষে করা সম্ভব না, তাই কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কাছে সহায়তা চেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে একটি মহল মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।’
এসকে রাসেল/এসআর/এএসএম