পঞ্চগড়ে রাজু ইসলাম (৩৪) নামে গুলিবিদ্ধ এক গরু ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৫ জুন) সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। রাতে গরু আনতে গিয়ে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। তবে বিজিবি ও পরিবারের দাবি হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয়েছে।
Advertisement
শনিবার গভীর রাতে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন উপজেলা সদরের হাড়িভাসা ইউনিয়নের ঘাগড়া সীমান্তের মেইন পিলার ৭৫১ এর ৩নং সাব পিলার এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন রাজু।
পুলিশ ও সীমান্তের বাসিন্দারা জানান, নিহত রাজু ঘাগড়া সীমান্ত এলাকার ঝুলিপাড়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। শনিবার রাতে রাজুসহ ৪-৫ জন যুবক ঘাগড়া ঝুলিপাড়া সীমান্তের কাছে গরু আনতে যান। এসময় ওই সীমান্তের বিপরীতে ভারতের কাঞ্চজঙ্ঘা বিওপির বিএসএফ সদস্যরা তাদের ধাওয়া দেয়। এক পর্যায়ে সবাই পালিয়ে এলেও রাজুর দুই পায়ে গুলি লাগে। ঘটনাস্থলের পাশেই রাজুর বাড়ি হওয়ায় গুলিবিদ্ধ অবস্থাতেই রাজু বাড়ি ফেরেন।
আহতাবস্থায় পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয়রা তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। রোববার সকালে প্রাথমিক সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
Advertisement
এদিকে বিএসএফের গুলিতে নয়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকেও একই দাবি করা হয়। তবে পুলিশ বলছে, প্রাথমিক সুরতহালে মরদেহের পায়ে গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হাসিবুল ইসলাম বলেন, আমরা বিজিবিকে বারবার বলি সীমান্তে যেন কেউ যেতে না পারে। বিজিবির অবহেলার কারণে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। তার পায়ে গুলি লেগেছে এটা সত্য। তবে এর আগে এক দুইবার তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। তার হার্টের সমস্যা আছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শইমী ইমতিয়াজ বলেন, নিহতের দুই পায়ে গুলির চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। হার্ট অ্যাটাকের বিষয়টি চিকিৎসক বলতে পারবেন। এছাড়া মৃত্যুর সঠিক কারণ ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।
সফিকুল আলম/এফএ/এমএস
Advertisement