বিএনপির তিন প্রধান অঙ্গসংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আজ বুধবার (২৮ মে) ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’। সকাল থেকে নয়াপল্টনে জড়ো হতে শুরু করেছেন দলটির নেতাকর্মীসহ সমর্থকরা।
Advertisement
সমাবেশকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে ব্যাপক প্রস্তুতি ও উৎসাহ-উদ্দীপনা। আয়োজক সংগঠনগুলোর দাবি, সমাবেশে অন্তত ১৫ লাখ তরুণের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাবে, যা হবে ‘একটি ঐতিহাসিক শক্তি প্রদর্শন’।
এই সমাবেশের মাধ্যমে বিএনপির তরুণরা রাজনৈতিক মাঠে নিজেদের সক্রিয়তা ও উপস্থিতির বার্তা দিতে চায়। দলটির তিনটি সংগঠনই গত কয়েক মাস ধরে সংগঠনের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমের পাশাপাশি মাঠে সক্রিয় ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছে। তাদের মতে, তারুণ্যের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এই আয়োজন এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
কী বলছেন নেতারা?জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্না মঙ্গলবার বলেন, এই সমাবেশ আমাদের তরুণদের ঐক্য, স্বপ্ন এবং শক্তির প্রতিচ্ছবি। আমরা আশা করছি, ১৫ লাখের বেশি মানুষ অংশ নেবেন। তারা রাজপথেই তাদের অবস্থান জানাবেন।
Advertisement
ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া বলেন, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার নিয়েই আমরা এই সমাবেশ করছি। এটি হবে তরুণদের ঐক্য ও দৃঢ় অবস্থানের প্রমাণ।
স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী বলেন, রাজধানীসহ সারা দেশ থেকে নেতাকর্মীরা ঢাকায় আসছেন। শৃঙ্খলার সঙ্গে কর্মসূচি পালনই আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য। এটি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এবং গণতান্ত্রিক কর্মসূচি।
সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে দুপুর ২টায়। নয়াপল্টনের বিএনপি কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় অস্থায়ী মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীদের জন্য রয়েছে আবাসন ও খাবারের ব্যবস্থাও রয়েছে। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে মাঠ পর্যায়ে সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
নেতৃত্ব থাকছে কারা?বিএনপির সিনিয়র নেতারা এই সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চুয়ালি বক্তৃতা দেবেন বলে জানিয়েছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির। সমাবেশে ছাত্র, যুব ও স্বেচ্ছাসেবক দলের শীর্ষ নেতারা সরাসরি বক্তব্য রাখবেন।
Advertisement
ঢাকা মহানগর পুলিশ সমাবেশস্থলে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি দলীয়ভাবে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করবে বলে জানা গেছে। আয়োজকরা বলছেন, কোনো উসকানি বা বিশৃঙ্খলা এড়াতে তারা ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ দেখাবেন।
কেএইচ/এসএনআর/জেআইএম