খেলাধুলা

ধবলধোলাই এড়াতে পারবে বাংলাদেশ?

ধবলধোলাই এড়াতে পারবে বাংলাদেশ?

একদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) সভাপতি পদ নিয়ে উত্তেজনা, অন্যদিকে পাকিস্তান টানা দুই টি-টোয়েন্টিতে হার বাংলাদেশের- সব মিলিয়ে গেল এক সপ্তাহ দেশের ক্রিকেট অঙ্গন ছিল ঘটনাবহুল।

Advertisement

ফারুক আহমেদের পরিবর্তে গেল শুক্রবার বিসিবির নতুন সভাপতি হয়েছেন সাবেক অধিনায়ক ও দেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তিনি সভাপতি হওয়ার কিছুক্ষণ পর মাঠে নেমে সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও পাকিস্তানের কাছে হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ।

সভাপতি হওয়ার পর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দলের ওপর তেমন প্রভাব ফেলতে পারবেন না বুলবুল, এটিই স্বাভাবিক। তবে দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র দুইদিন হলেও বুলবুলের কাছে প্রত্যাশা বেড়েছে ভক্তদের। তাদের প্রত্যাশা, আজ রোববার তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে অন্তত পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতবে বাংলাদেশ।

আজকের ম্যাচে হেরে গেলে পাকিস্তানের কাছে ধবলধোলাই হবে বাংলাদেশ। আরব আমিরাতের মতো দলের কাছে সিরিজ হারের পর পাকিস্তানের কাছে ধবলধোলাই হওয়াটা মানতে কষ্ট হবে লিটন দাসদের। যে কারণে সালমান আলি আগাদের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে জয়ভিন্ন অন্যকিছু চিন্তা করার অবকাশ নেই বাংলাদেশের।

Advertisement

শেষ ম্যাচে জিততে হলে সবার আগে ব্যাটিং নিয়ে ভাবতে হবে বাংলাদেশকে। কেননা প্রথম দুই ম্যাচে ভালো শুরু করলেও মাঝের দিকে হঠাৎ করে ব্যাটিংলাইনআপ ভেঙে পড়েছিল বাংলাদেশের।

প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতেই পাকিস্তান আগে ব্যাট করে ২০১ রানের পুঁজি গড়েছিল। জবাবে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে ১৬৪ রানে আর দ্বিতীয় ম্যাচে ১৪৪ রানে অলআউট হয়ে যায়।

বাংলাদেশকে ভাবাচ্ছে পাকিস্তানের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ। আধুনিক টি-টোয়েন্টির সঙ্গে মিল রেখে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলছে স্বাগতিকরা। মাঝের ওভারগুলো পর্যন্ত ইতিবাচক মানসিকতা দেখাচ্ছে তারা।

মাঝেমধ্যে আশার ঝলক দেখিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। ডেথ ওভারে পাকিস্তানি ব্যাটারদের আটকে রাখতে সফল হয়েছেন তারা। দুই ম্যাচেই শেষ দিকে পাকিস্তানকে প্রত্যাশিত বড় স্কোর থেকে বঞ্চিত করতে পেরেছেন বোলাররা।

Advertisement

তবে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে আগ্রাসনের ঘাটতি স্পষ্ট, যা বোলারদের ওপর বাড়তি চাপ ফেলছে। দু-একটি ঝলমলে ইনিংস ছাড়া ব্যাটাররা ধারাবাহিকভাবে আক্রমণ চালাতে পারেননি এবং রান তাড়ায় গুরুত্বপূর্ণ সময়ে হঠাৎ করেই উইকেট হারিয়েছেন।

আগের দুই ম্যাচের অভিজ্ঞতা নিয়ে ভক্তদের কেউ কেউ ধারণা করছেন, সম্ভবত টার্গেট ডিফেন্ড করে খেলাই বেশি মানায় বাংলাদেশকে। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ বরাবরের মতোই দুর্বল; সেটি প্রমাণিত হয়েছে সর্বশেষ আইসিসি র্যাংকিংয়ে, যেখানে টেস্ট ও ওয়ানডের পর সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের ক্রিকেটেও ১০ নম্বরে নেমে গেছে লিটন দাসের দল।

দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর আজকের ম্যাচ দিয়েই ঘুরে দাঁড়াতে হবে বাংলাদেশকে। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত ধবলধোলাই এড়াতে পারে কি না বাংলাদেশ।

এমএইচ/